জাবির সংকটের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবে মন্ত্রণালয়ঃ নওফেল
সিটি নিউজ ডেস্কঃ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সংকট নিয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্বপ্রণোদিত হয়ে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নিতে আগ্রহী নয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ বুধবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা ইনস্টিটিউটের সেমিনার কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।
জাবির এমন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকারের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ নেয়া হবে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। আমরা চাইলেই সেখানে হস্তক্ষেপ করতে পারি না। তবে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও প্রমাণ দিলে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে পারি।
তিনি বলেন, আমরা বলপ্রয়োগ করে নয়, শৃঙ্খলা বজায় রেখেই সমাধান করতে চাই। কোথায় কোথায় দুর্নীতি রয়েছে, তা আমাদের জানাতে হবে। আপনারা আসুন, অভিযোগ দিন। অযথা রাস্তায় নেমে বিশৃঙ্খলা করবেন না।
ছাত্রলীগের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করলে উপমন্ত্রী বলেন, ছাত্রলীগের একটি ঐতিহ্য আছে। কেউ কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছাত্রলীগকে দোষী সাভ্যস্ত করে। তবে ছাত্রলীগের পদে থেকে কেউ যদি সহিংসতার সঙ্গে জড়িত থাকে তাদের অপসারণ করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার ঘটনাসহ যে অস্থিরতা সৃষ্টি করা হয়েছে সেটি অনভিপ্রেত উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যলয়ের পরিস্থিতি শান্ত রাখতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী।
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, জাবির চলমান অস্থির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করেছেন। উল্টো ভিসির বাড়ি ঘেরাও করাটা যৌক্তিকতার মধ্যে পড়ে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এ সিদ্ধান্ত সবার মেনে নেয়া উচিত।
তিনি বলেন, এ আন্দোলনে জাহাঙ্গীরনগরে শিক্ষকদের মধ্যে দুটি গ্রুপ তৈরি হয়েছে। এক পক্ষ বলছে, দুর্নীতি হয়েছে। আরেক পক্ষ বলছে, যেখানে অর্থই ছাড় হয়নি, সেখানে কীভাবে দুর্নীতি হলো বলে প্রশ্ন তুলছে। এ দুই গ্রুপের মাঝে তৃতীয় আরেকটি গ্রুপ সহিংসতা তৈরি করতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। কেউ অন্যায় করলে তাকেও আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়াটা আইনগত অধিকার। বিচারের আগেই তার ওপর অযথা চাপ সৃষ্টি করা উচিত নয়।
তিনি বলেন, এক পক্ষ ইতোমধ্যে আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ৮ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু তার আগেই একধরনের অস্থির পরিস্থিত সৃষ্টি করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতি সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। একই সঙ্গে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম, উন্নয়ন কাজ।
উপমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে জ্ঞান চর্চার একটি স্থান। এখানে সবারই যৌক্তিক মত প্রকাশের সুযোগ আছে। যদি কারও অভিযোগ থাকে সেটি তদন্ত সাপেক্ষে আমরা ব্যবস্থা নেব।