খালেদা জিয়ার ‍মুক্তির জন্য ঐক্যফ্রন্টকে নিয়ে পথ চলা ক্ষতিকরঃ গয়েশ্বর

0

সিটি নিউজ ডেস্কঃ খালেদা জিয়ার মুক্তির প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বিএনপি একটি শক্তি। কারণ বিএনপি ও খালেদা জিয়া জনগণের কথা বলে। তার মুক্তি নিয়ে যদি, যাদেরকে (জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট) নিয়ে আমরা চলি, তাদের মধ্যে যদি অনীহা থাকে তাহলে তো তাদের সাথে দীর্ঘ পথ চলা ক্ষতিকর।

আজ বুধবার (৬ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকাস্থ হোমনা উপজেলা জাতীয়তাবাদী ফোরাম আয়োজিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ারের ২য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণ সভা ও মিলাদ মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর বলেন, আমি বিশ্বাস করি, যদি আমরা আন্তরিকতার সাথে মাঠে থাকি তাহলে আমাদের শক্তি যথেষ্ট। সেই কারণে যারা (জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট) আছে তাদেরকে সম্মান করি ও গুরুত্ব দেই। কিন্তু তারা যদি আমাদের ঘাড়ে চেপে তাদের নিজস্ব টার্গেট নিয়ে চলতে চায়, সেই পথে চলা তাহলে আমাদের জন্য বোকামি হবে। খালেদা জিয়ার মুক্তি জন্য তাদেরকে কেনো মঞ্চে চিরকুট দিতে হবে? বেগম জিয়ার মুক্তি কথা তারা কেনো বলতে পারবে না? আর যার বিরুদ্ধে আমরা রাজনীতি করি তাদের কথা জোরেশোরে আমাদের সামনে কেনো বলা…। তারপরও আমরা সহ্য করি কেনো? শুধু মাত্র করি- জাতীয় ও জনগণের স্বার্থে। একারণে আমি মনে করি, সবাইকে একটু সতর্ক হওয়া ভালো।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে গয়েশ্বর বলেন, আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, আমাদের নিজেদের মধ্যে নিজেদের আত্ম-বিশ্বাস নাই। তারপরও জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার তাগিদ থেকে ছোট, বড় ও মাঝারি দলসহ অনেক দল নিয়ে ঐক্য করেছি। আবার ফ্রন্টও করেছি। এটা কিন্তু আমাদের রাজনৈতিক অলঙ্কার হতে পারে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটাতে হবে। আর নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধিনে ভোটের মাধ্যমে এদেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে না পারলে আজকের এই অত্যাচার ও নিপীড়ণ থেকে এদেশকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না।

তিনি বলেন, গতকাল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কি করেছেন? এই ভিসির প্রতি স্পষ্ট অভিযোগ, গত ঈদে ছাত্রলীগের ছেলেদের ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা সেলামি দিয়েছেন। তার কাছে ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ৮৬ কোটি টাকা চাঁদা চেয়েছেন। সেই ভিসিকে রক্ষা করার জন্য গতকাল ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা দানবনে রূপান্তরিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যাকারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। বিশ্বাস করা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র তারই সহকর্মী একটি মেয়েকে পেটে লাথি মেরে ফেলে দিতে পারে! এটা বিশ্বাস করা যায় না। কারা এদেরকে দানব বানালো? এই স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট সরকার। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় বিএনপির বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ বক্তব্যে রাখেন। এছাড়া গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.