স্কুল ছাত্র আবরারের মৃত্যু বরদাশত করা যায় নাঃ প্রধানমন্ত্রী

0

সিটি নিউজ ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর উদ্ভেগ প্রকাশ করে বলেছেন, প্রথম আলোর সাময়িকী কিশোর আলোর অনুষ্ঠান চলাকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী নাঈমুল আবরারের অপমৃত্যুর ঘটনায় প্রথম আলো কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ছিল। এটা তো বরদাশত করা যায় না।

আজ বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে দুস্থ ও অসচ্ছল সাংবাদিকদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা অনুষ্ঠান আয়োজন করে, তাদের একটা দায়িত্ব থাকে। রেসিডেন্সিয়ালে একটা ঘটনা ঘটলো। আয়োজকরা এটাকে এতটা নেগলেক্ট করেছে! বাচ্চাটা মারা গেছে, এরপরও ঘটনাটা চাপা দিয়ে অনুষ্ঠান চালিয়ে গেছে। ধানমন্ডিতে এতোগুলো হাসপাতাল, তবুও মহাখালীতে নিয়ে গেলো। প্রথম আলো এই ধরনের একটা ঘটনা কীভাবে ঘটায়? তাদের কোনও দায়বদ্ধতা নেই? ছোট ছোট বাচ্চারা এখানে পড়াশোনা করছে। তাদের নিরাপত্তা না দেখা এটাও তো গর্হিত অপরাধ। এটা তো বরদাশত করা যায় না।

গত ১ নভেম্বর বিকালে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ ক্যাম্পাসে দৈনিক প্রথম আলোর সাময়িকী কিশোর আলোর অনুষ্ঠান চলাকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায় নাঈমুল আবরার। এ ঘটনায় দৈনিক প্রথম আলো ও সাময়িকী কিশোর আলোর প্রকাশক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন আবরারের বাবা মো. মজিবুর রহমান।

এ ঘটনায় আয়োজকদের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে বিচারের দাবি জানিয়ে আসছেন আবরারের পরিবার ও শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন জায়গায় ঘটনা তদন্তে বিচারের দাবিতে হয়েছে মানববন্ধন।

জাবি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের (ভিসি) বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জাবিতে চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির বিরুদ্ধে দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমান করতে পারলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যথায় দুর্নীতির অভিযোগ যদি প্রমাণ করতে না পারে তাহলে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ দিনের পর দিন এভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকতে পারে না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অসুস্থ ও আহত সাংবাদিকদের পাশে থাকবে আওয়ামী লীগ সরকার। সরকারি তহবিল থেকে সব ধরণের সাহায্য সহযোগীতা করার চেষ্টা করা হবে।

তিনি বলেন, আপনারা যারা পত্রিকার মালিক পক্ষ আছেন, তারা যদি অল্প অল্প করে আমাদের কিছু সহযোগিতা করেন, তাহলে তা এক সময় বড় ফান্ডে পরিণত হবে। যা অসুস্থ ও আহত সাংবাদিকদের জন্য ব্যয় করা হবে। যেন আপনার কর্মীদের কষ্টে থাকতে না হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ব্যক্তিগত ও সরকারিভাবে সব সময় চেষ্টা করে যাবো অসুস্থ ও আহত সাংবাদিকসহ সকল মানুষের সাহায্য সহযোগতীয় পাশে থাকার জন্য।

 

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.