মোরশেদ খান ও তার ছেলে ফয়সালের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের আদেশ বহাল

0

সিটি নিউজ ডেস্কঃ বিএনপির সদ্য পদত্যাগী সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খান এবং তার ছেলে ফয়সাল মোরশেদ খানের নামে হংকংয়ের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের হিসাব জব্দই থাকবে। বিচারিক আদালতের জব্দের এ আদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

আজ সোমবার (১৮নভেম্বর) বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হক সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও এলাকা ও পাশের বোয়ালখালী উপজেলা) আসন থেকে ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে বিএনপি-জামায়াত জোটের নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হন মোরশেদ খান।

সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে পলাতক থাকা অবস্থায় অবৈধ সম্পত্তি অর্জন ও সম্পত্তির তথ্য গোপনের মামলায় তার ১৩ বছরের কারাদণ্ড হলেও পরে অন্য অনেক রাজনীতিবিদের মতোই উচ্চ আদালতে তার সাজা বাতিল হয়ে যায়।

এর মধ্যে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আওয়ামী লীগের জোট শরিক জাসদ নেতা মইন উদ্দিন খান বাদলের কাছে পরাজিত হন মোরশেদ খান।

এরপর অসুস্থ থাকায় দলীয় কর্মসূচিতে তাকে তেমন একটা দেখা যায়নি। দীর্ঘ ১০ বছর পর গতবছর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাইলেও বিএনপি তাকে বাদ দিয়ে আবু সুফিয়ানকে মনোনয়ন দেন।

মনোনয়ন ও দল পুনর্গঠন নিয়ে ক্ষুব্ধ মোরশেদ খান তখন থেকে একরকম নিস্ক্রিয় হয়ে আছেন। অবশেসে গত সপ্তাহে তিনি দল থেকে পদত্যাগ করেন। তার পদত্যাগের ফলে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যানের সংখ্যা এখন ৩১। এর আগে মোসাদ্দেক হোসেন ফালু ও ইনাম আহমেদ চৌধুরী পদত্যাগ করেন। সম্প্রতি ইনাম আহমেদ আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন।

সিটিসেলের নামে এবি ব্যাংক থেকে অনিয়মের মাধ্যমে ৩৮৩ কোটি ২২ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের মামলায় চলতি বছর ১০ জুন মোরশেদ খানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বিএনপি নেতা মোরশেদ খান একই সঙ্গে বাংলাদেশের প্রথম মোবাইল অপারেটর সিটিসেলের অন্যতম মালিক ও এবি ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালকদের মধ্যে একজন ছিলেন।

দেনার দায়ে ২০১৬ সালে সিটিসেল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরের বছর মোরশেদ খান, তার স্ত্রী নাছরিন খান ও সিটিসেলের এমডি মেহবুব চৌধুরীসহ ১৬ জনকে আসামি করে দুদক ওই মামলা করে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.