রাজনীতিকে সমাজসেবা হিসেবে গ্রহন করেছিঃ সাদাত আনোয়ার

0

জুবায়ের সিদ্দিকীঃ চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ির রাজনৈতিক মানচিত্রে সাদাত আনোয়ার সাদী একজন সুপরিচিত ব্যাক্তিত্ব। ফটিকছিড় উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য, বিশিষ্ট রাজনৈতিক সংগঠক, সমাজসেবক সাদী বেশ কয়েকবছর ধরে ফটিকছড়ির নিজ এলাকায় উন্নয়ন কর্মকান্ড ও জনহিতকর কর্মকান্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। আওয়ামী লীগের দাযিত্বশীল কোন পদে না থাকা সত্বেও ব্যাপকভাবে নিজ অর্থে উন্নয়নসহ মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করায় তিনি ব্যাপকভাবে প্রশংসীত হয়েছেন।

গত সপ্তাহে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে সাদী বলেন, আপনি জানেন, আমরা একটি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের পরিবারের অনেক অবদান সকলে অবগত। ’৯৬ সালে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ সরকার যেভাবে উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে গিয়েছিল তাহা আবার ২০০১ সালে বিএনপি সরকার বাঁধাগ্রস্থ করেছে।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ আবার সরকার গঠন করলে উন্নয়নের ধারা অদ্যাবধি অব্যাহত রয়েছে। তা সম্ভব হচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বের কারনে। আপনি জানেন, পদ্মা ব্রিজ করতে এডিবি ও বিশ্বব্যাংক যখন সরে দাঁড়ায় তখন জননেত্রি শেখ হাসিনা দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়ে দেশের অর্থে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করেন। যা এখন প্রায় সমাপ্তির পথে। জননেত্রি শেখ হাসিনা দেশকে অর্থনৈতিকভাবে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। চট্টগ্রামে বড় বড় উড়াল সেতু, টানেল নির্মাণসহ চট্টগ্রাম-ঢাকা চার লেইনে বাস্তবায়নসহ উন্নয়ন হয়েছে প্রচুর।

সাদী বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য যখন করেছেন তখন আমার দায়িত্ব হল, উন্নয়নের ধারাবাহিকতাকে এগিয়ে নেওয়া, তার অংশ হিসেবে আমার নিজ এলাকা ফটিকছড়িতে আইনশৃংখলা উন্নতির জন্য পুলিশের যানবাহন মেরামত ও ২টি নতুন টাটা পিকআপ প্রদান করেছি। ভূঁজপুর থানাকে একটি নতুন পিকআপ দিয়েছি। ডিবির কোন গাড়ী ছিলনা। ডিবিকে গাড়ী প্রদান করেছি। পুলিশের কোন এ্যাম্বুলেন্স ছিল না। আমি এ্যাম্বুলেন্স প্রদান করেছি। ফটিকছড়িতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টর্চ জ্বালিয়ে অপারেশন করা হতো। বিদ্যুৎ সংযোগ বিল না দেওয়াতে বিচ্ছিন্ন ছিল। আমি বিল পরিশোধ করে সংযোগ পুনঃস্থাপন করেছি। হাসপাতালে একটি বিকল এ্যাম্বুলেন্স ছিল। আমি ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা খরচ করে এ্যাম্বুলেন্স সচল করে দিয়েছি।

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের মাধ্যমে সম্মানিত চেয়ারম্যান এম এ ছালামের সহযোগীতায় এলাকায় মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ, রাস্তাঘাট মেরামত ও পুনঃনির্মাণ করেছি। হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের উপসনালয় সংস্কার, উপজেলা জুড়ে দুস্থ শীতার্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ, ভয়াবহ বন্যা ও প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থদে মাঝে ত্রাণ বিতরণসহ নানা উন্নয়ন কর্মকা-ে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পেরে আমি আনন্দিত। ফটিকছড়ি উপজেলা একটি অবহেলিত উপজেলা। ফেনী জেলার চেয়েও বড় এবং একটি জেলার সমান। এখানে ২টি উপজেলা হওয়া উচিত। একটি ফটিকছড়ি ও অন্যটি ভূঁজপুর উপজেলা।

বিশিষ্ট সংগঠন ও রাজনীতিবিদ সাদাত আনোয়ার সাদী বলেন, ১৯৮২ সাল থেকে আমি রাজনীতিতে আছি। মফিজ ও আমিন ভাইয়ের নেতৃত্বে আন্দোলন সংগ্রামে ছিলাম। আমি রাজনীতিতে এসেছি কোন পদপদবীর জন্য নয়। রাজনীতিকে সমাজসেবা হিসেবে গ্রহন করেছি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক হিসেবে মানুষের সেবা করাই আমার রাজনীতির পথচলা। আগামীতে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। কোন পদ-পদবী জননেত্রী শেখ হাসিনা দিলেও খুশী আবার না দিলেও হতাশ নই। রাজনীতিতে চাওয়া-পাওয়া থাকতেই পারে। আমি রাজনীতির মাঠে আছি মাঠেই থাকবো। আমি যে কর্মী ছিলাম সে কর্মীই থাকব। নেত্রী সিদ্ধান্তই হবে চুড়ান্ত।

আসলে পদ-পদবী বড় কথা নয়, আন্তরিকতা ও ইচ্ছা থাকলে দলের ও মানুষের স্বার্থে জনহিতকর কর্মকান্ডে অংশ নেওয়া যায়। আমি ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের গতবার কাউন্সিলর ছিলাম। ২০১৭ সালে গণভবনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় চট্ট্গ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত উপ-প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। সমাজসেবা করতে কোন পদ-পদবীর দরকার হয় না। আমার ধমনীতে রাজনীতির রক্ত। রক্ত কখনো আদর্শচ্যুত হয় না। জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকান্ড এগিয়ে নিতে আমি দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.