গোলাপি বল আলাদা কেন : ইতিহাস

0

সিটি নিউজ ডেস্ক :  গোলাপি বলে হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত টেস্ট। উপমহাদেশের প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্টও এটি। এই উপলক্ষে টেস্টের ভেন্যু কলকাতায় তৈরি হয়েছে ব্যাপক উন্মাদনা। করা হচ্ছে নানান আয়োজন। সব ছাপিয়ে তবু আলোচনায় গোলাপি বল। ক্রিকেট সাধারণত লাল ও সাদা বলে হয়ে থাকলেও সাদা পোশাকে দিবা-রাত্রির খেলাতে চালু হয় গোলাপি বল।

জেনে নেওয়া যাক কোন বিশেষত্বে আলাদা গোলাপি বল

১. গোলাপি বলের শাইন খুব ভালো। সহজেই এটি পুরোনো হয় না। বলটি ঝকঝকে করার জন্য এতে বিশেষ ধাতুর স্তর বা ‘ল্যাকার’ দেওয়া হয়। বল শুকিয়ে যাওয়ার পর করা হয় পালিশ। সেই জেল্লা সুইংয়ে সাহায্য করে। ল্যাকারের জন্য এটি টেকেও বেশি সময়। পুরনো হতে সময় নেয়। লাল বা সাদা বলের তুলনায় গোলাপি বলের স্তর মোটা। এসব কারণে এই বলে বাড়তি সুবিধা পান পেসাররা।

২. যেহেতু বাড়তি স্তর দেওয়া হয়, তাই এই বল তৈরি করতেও লাগে বেশি সময়। একটি গোলাপি বল তৈরি করতে সময় লাগে ৭ থেকে ৮ দিন।

৩. গোলাপি চামড়া পাওয়া যায় না বলে এতে গোলাপি রঙ করতে হয়। চূড়ান্ত সেলাইয়ের আগে একবার ও পরে আবার করা হয় রঙ। অতিরিক্ত রঙ থাকায় এটি কারো কারো কাছে কমলাও দেখায়। ভারতের অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন যেমন বলছিলেন, বলটি গোলাপি নাকি কমলা তিনি বুঝতে পারছেন না!

৪. লাল বলের তুলনায় গোলাপি বলের সেলাই অনেক মোটা, এটি হাতে সেলাই করা হয়। এতে সিমে ফেলে বাড়তি বাউন্স আদায় করে নিতে পারেন বোলাররা। তবে সিম মোটা হওয়ায় ও শাইন বেশি থাকায় এই বল দিয়ে রিভার্স সুইং করানো বেশ শক্ত।

৫. বাংলাদেশ-ভারতের টেস্ট ম্যাচ হবে এসজি গোলাপি বলে। এর আগে ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে ব্যবহৃত হয়েছিল কোকাবুরা ডিউক বল। ওই বলে স্পিনারদের জন্য সুবিধা ছিল কম। বল অনেক বেশি মুভমেন্ট করায় পেসাররা পাচ্ছিলেন সুবিধা।

গোলাপি বলে খেলার ইতিহাস

– গোলাপি বলে প্রথম টেস্ট ম্যাচ হয়েছিল ২০১৫ সালে। অ্যাডিলেডে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া খেলেছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।

– গোলাপি বলে প্রথম শ্রেণির প্রথম ম্যাচ হয়েছিল বেশ আগে। ২০০০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো খেলেছিল গায়ানার বিপক্ষে।

– ১৯৯৭ সালে রঞ্জি ট্রফিতে দিল্লি ও মুম্বাইয়ের একটি ম্যাচ হয়েছিল দিবা-রাত্রির। তবে তা হয়েছিল সাদা বলে। ভারতে দুলীপ ট্রফিতে প্রথম ব্যবহার করা হয় গোলাপি বল।

– ২০১৬ সালে ইডেন গার্ডেন্সে মোহনবাগান ও ভবানীপুর ক্লাবের একটি চার দিনের ম্যাচও হয়েছিল গোলাপি বলে।

– ২০১৩ সালে গোলাপি বলে বাংলাদেশে প্রথম শ্রেণির আসর বিসিএলের একটি ফাইনাল ম্যাচ হলেও সেই দলের কেউ নেই বর্তমান টেস্ট দলে।

– ভারতের স্কোয়াডে থাকা মোহাম্মদ শামি, চেতশ্বর পূজারা, ঋদ্ধিমান সাহাদের অভিজ্ঞতা আছে গোলাপি বলে খেলার।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.