নিয়ন্ত্রণহীন সরকার চারিদিকে বিশৃংখলাঃ আমীর খসরু

0

সিটি নিউজঃ বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দ্রব্যমূল্য, শেয়ারবাজার, ব্যাংক, পরিবহন সেক্টর কোন কিছুই সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই। জনগণের নিরাপত্তা নেই, নারী শিশুদের উপর নির্যাতন ভয়াবহ আকারে পৌঁছেছে। সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের সুরক্ষা দেয়া, সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করার কথা সংবিধানে নেই। আর যারা এসব নিয়ন্ত্রণ করে তারা বাকশালী ছাড়া আর কিছুই নয়। তারা মানুষের মৌলিক অধিকারের কথা চিন্তা করে না। তারা মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়, আইনের শাসন হরণ করে। এ দ্রব্যমূল্যের এই যে উর্ধ্বগতি এতে সরকারের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। কোন কিছুই সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই, দেশে চারিদিকে বিশৃংখলা চলছে। নিয়ন্ত্রণ তখন থাকতো যদি জনগণের কাছে ভোট চাইতে হতো।

তিনি আজ ২৩ নভেম্বর শনিবার বিকালে নগরীর কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। তিনি আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের ‘বিএনপির মুখ ছাড়া সবকিছু সরকারের নিয়ন্ত্রণে’ এই বক্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, ওনাদের বক্তব্যের উত্তর দেয়ার কোন প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। তিনি যদি জেনেশুনে বলে থাকেন তাহলে দেশের সংবিধান লংঘন করেছেন। তিনি মারাত্মক ভুল করেছেন।

তিনি বলেন, আজকে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো আওয়ামীলীগ দখল করে রেখেছে। দেশে মুক্তবাজার অর্থনীতির নাম দিয়ে আওয়ামী অর্থনীতি চালু করেছে। গত দশ বছরে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে গেছে। সরকার গণতন্ত্রকে ছোট্ট একটি ঘরে বন্দি করে রেখেছে। আজকে দেশের মানুষ বেগম খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য আন্দোলন করছে। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আর অপেক্ষা করা যাবে না। বিশ্বের গণতান্ত্রিক নেতাদের যেভাবে মুক্তি করেছে বেগম খালেদা জিয়াকেও সেভাবে মুক্ত করতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই। যেকোন আন্দোলনের জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা: শাহাদাত হোসেন বলেন, সরকার দেশকে আজ মাকাল ফলে পরিণত করেছে। এখন দেশের উপরে সবকিছু সাদা, কিন্তু ভিতরে ফকফকা। দেশে আজ চাঁদাবাজ, লুটপাট ও টেন্ডারবাজের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য কেন্দ্র থেকে কঠিন আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করতে হবে। সে কর্মসূচি হবে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনের কর্মসূচি। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মাধ্যমে এই বাকশালী সরকারের হাত থেকে দেশ মুক্তি পাবে এবং দেশের গণতন্ত্র মুক্ত হবে।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, সরকার দেশের সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে, কিন্তু বিএনপির মুখ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে নাই’ সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, এই বক্তব্যের মাধ্যমে ওবায়দুল কাদের নিজের অজান্তেই স্বীকার করে নিলেন-আইন আদালত, প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে মিথ্যা সাজানো মামলায় সাজা দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছেন। মানুষের ভোটাধিকারও নিয়ন্ত্রণ করে রেখে ভোটের আগের রাতের ভোট প্রতিষ্ঠিত করেছেন। গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে মুক্ত মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে হরণ করতে সক্ষম হয়েছেন। তার বক্তব্য একচেটিয়া স্বৈরশাসকদের বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা দিনের পর দিন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। দেশনেত্রীর বিপুল জনপ্রিয়তা শেখ হাসিনা সহ্য করতে পারেন না বলেই মিথ্যা অভিযোগে সাজানো মামলায় তাকে কারাগারে বন্দি করে রেখেছেন। কিন্তু জনগণ তাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সেদিন আর বেশী দুরে নয়, যেদিন জনগণের সম্মিলিত শক্তি কারাগারের লৌহকপাট ভেঙ্গে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনবেই ইনশাআল্লাহ।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন ও সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলামের পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এড. আবদুস সাত্তার, হাজী মোহাম্মদ আলী, জয়নাল আবেদীন জিয়া, নাজিমুর রহমান, সবুক্তগীন সিদ্দিকী মক্কি, আশ্রাফ চৌধুরীম, শফিকুর রহমান স্বপন, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবু ফয়েজ, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আবদুল মান্নান, আনোয়ার হোসেন লিপু, সামশুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, সহসাধারণ সম্পাদক সামশুল আলম (ডক), মো. সালাহ উদ্দিন, জি. এম আইয়ুব খান, ইসহাক চৌধুরী আলিম, শাহ আলম, আবু জহুর, প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মুবিন, থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, হাজী বাবুল হক, মোশাররফ হোসেন ডেপটি, কাউন্সিলর মো. আজম, মো. সেকান্দর, ড. নুরুল আবচার প্রমুখ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.