দুর্নীতির বিরুদ্ধে এ্যাকশন এবার জেলা-উপজেলায় শুরু হবেঃ কাদের

0

সিটি নিউজ ডেস্কঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শিগগিরই জেলা-উপজেলা শহরে শুদ্ধি অভিযান শুরু হবে।

আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে যশোর ঈদগাহ ময়দানে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

এর আগে বেলুন উড়িয়ে জেলা সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিযাম সদস্য অ্যাড. পীযুষকান্তি ভট্টাচার্য।

উদ্বোধনী সমাবেশ শেষে ওবায়দুল কাদের একই মঞ্চে জেলা আওয়ামী লীগের নয়া কমিটির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে শহিদুল ইসলাম মিলন ও শাহীন চাকলাদারকে পুনরায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করেন।

সমাবেশে শুদ্ধি অভিযানের প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগে কোনও চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ, মাদক কারবারির কোনও ঠাঁই নেই। ঢাকায় শুদ্ধি অভিযানের যে অ্যাকশন শুরু হয়েছে, শিগগিরই তা জেলা-উপজেলা শহরেও শুরু হয়ে যাবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজের ঘরকে শাস্তি দিয়ে পরকে শেখানোর পলিসি নিয়েছেন।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, দল ভারী করার জন্য আপনারা খারাপ লোক, সুবিধাবাদী লোকজনকে ভেড়াবেন না।

দলের ভেতরে কোন্দল করা যাবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ঘরের ভেতরে ঘর, মশারির ভেতরে মশারি টাঙাবেন না। নেতৃত্বে যাতে মৌসুমী পাখিরা না আসতে পারে- সেদিকে নজর রাখবেন। দুর্দিনে এইসব মৌসুমী নেতারা সব হিমালয় কৈলাশ পর্বতে পালিয়ে যাবে। তখন পাঁচ হাজার ওয়াটের বাল্ব জ্বালিয়েও তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না।

তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা এখন বিশ্বের ১০ প্রভাবশালী রাষ্ট্রনায়কের একজন, দুই জন সেরা প্রধানমন্ত্রীর একজন। গত ৪৪ বছরে সবচেয়ে সৎ রাজনীতিক, দক্ষ শাসক, সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী তিনি। তার কর্মী হয়ে আমরা কোনও অপকর্ম করতে পারি না। কেননা আমাদের একটা আচরণের আবরণে ১০টি উন্নয়নের কাজ ঢেকে যাবে।

তিনি উল্লেখ করেন, বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত প্রায় সবাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী হওয়ার পরও তারা রেহাই পায়নি।

এসময় হলি আর্টিজান হামলা মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতীক্ষিত এই রায়ের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে দেশে আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা বিদ্যমান থাকে। ওই মামলায় সাত জনের ফাঁসির রায়ে জনজীবনে স্বস্তি এবং বিচার ব্যবস্থার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা বেড়েছে। এই রায় দেশে জঙ্গিবাদ ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকদের প্রতি এক অশনিসংকেত। এটি আমাদের আগামী ভবিষ্যৎকে নিরাপদ ও শান্তিময় রাখা এবং স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা কায়েমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও দলের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রহমান।

 

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.