ইব্রাহিম বিন খলিল ছিলেন এরশাদ মুক্তি আন্দোলনে সিপাহসালার

0

সিটি নিউজঃ জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান দিদারুল কবির দিদার বলেছেন, জাপার সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চট্টগ্রাম নগর আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা ইব্রাহিম বিন খলিল ৯০ পরবর্তী পল্লীবন্ধু এরশাদ মুক্তি আন্দোলনে একজন সাহসী সিপাহসালার ছিলেন। শত নির্যাতন, নিপীড়ন, জেল-জুলুম, হামলা-মামলা উপেক্ষা করে ইব্রাহিম বিন খলিলদের সাহসী নেতৃত্বে এরশাদ মুক্তি আন্দোলন বীর চট্টগ্রামে তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠেছিল।

তিনি বলেন, স্বৈরাচারিণী খালেদা সরকার সেদিন সফল রাষ্ট্রনায়ক পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে সিএমএম আদালতে আনতে সাহস দেখায়নি। আদালত চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে নেতা এরশাদের কাছে নিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল, ইতিহাসে এই ঘটনা নজিরবিহীন। ইব্রাহিম বিন খলিল এদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা। পল্লীবন্ধু এরশাদ মুক্তি আন্দোলনে এদের মত এরশাদ সৈনিকদের সাহসিকতায় নেতা এরশাদ লাল-সবুজের পতাকায় লক্ষ-কোটি মানুষের দোয়া নিয়ে ঘুমিয়ে আছেন রংপুরের দর্শনার পল্লীনিবাসের সমাধিতে। ইব্রাহিম বিন খলিলের অভাব জাতীয় পার্টিতে কোনোদিন পূরণ হবে না। ইব্রাহিম খলিল সৎ, নিষ্ঠাবান, সাহসী ও আদর্শিক রাজনীতিতে অনুপ্রেরণার উৎস।

আজ ৪ ডিসেম্বর, বিকাল ৩টায় চেরাগী পাহাড়স্থ সুপ্রভাত স্টুডিও হলে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইব্রাহিম বিন খলিল স্মরণসভা উদ্যাপন পরিষদ আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিবিদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইব্রাহিম বিন খলিল মহান মুক্তিযুদ্ধের সাহসী সৈনিক।

তিনি বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছিলেন। এরশাদ মুক্তি আন্দোলনের রাজপথে লড়াকু নেতৃত্ব থেকে কর্মীবান্ধব নেতায় পরিণত হয়েছিলেন। সৎ, নিষ্ঠাবান, নির্লোভ, দুর্নীতিমুক্ত নেতা ইব্রাহিম খলিলের মত রাজনৈতিক নেতার আজ বড়ই অভাব। আজ রাজনৈতিক নেতা মানে কোটিপতি রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ, অথচ স্বাধীনতা সংগ্রামের এ বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর পরে কিছুই ছিল না। তাঁর একমাত্র মেয়ের বিয়ে দিতে হয়েছে চাঁদা তুলে। ইব্রাহিম বিন খলিল রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের জন্য সততা ও আদর্শের এক বিরল উদাহরণ।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের জাতীয় পার্টি আজ অযোগ্য, অজ্ঞ, তথাকথিত অরাজনৈতিক নেতৃত্বের কারণে বেহাল দশায়। ইব্রাহিম বিন খলিল ও আমাদের রেখে আসা জাতীয় পার্টি আজ চট্টগ্রামে ধ্বংসের শেষ সীমানায়। ইব্রাহিম বিন খলিলের আদর্শে আজ চট্টগ্রাম জাতীয় পার্টি পরিবারের নেতাকর্মীদের রুখে দাঁড়ানোর সঠিক সময়। লেঁজুড়ভিত্তি করে জাতীয় পার্টিকে এগিয়ে নেওয়া যাবে না।

মহানগর জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল্লাহ মিয়ার সভাপতিত্বে স্মরণসভা উদ্যাপন পরিষদের সদস্য সচিব নাছির উদ্দীন ছিদ্দিকীর সঞ্চালনায় স্মরণসভায়, বিশেষ অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, সাতকানিয়া পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ জোবায়ের, নগর জাপার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন নগর জাতীয় পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম চৌধুরী, সহ-সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিজ সওদাগর, সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, নগর যুব সংহতির সভাপতি এস.এম. সাইফুল্লাহ সাইফু, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নুরুল বশর সুজন, সহ-সভাপতি ছালেহ্ আহমদ ভূঁইয়া, নগর স্বেচ্ছাসেবক পার্টির জহিরুল ইসলাম রেজা, নগর শ্রমিক পার্টির সভাপতি জসিম উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মিন্টু, এম. আজগর আলী, কামাল উদ্দিন মাসুদ, নগর মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পার্টির সদস্য সচিব জামাল উদ্দিন কান্টু, ডবলমুরিং থানা জাপা সাধারণ সম্পাদক আরমান মিয়া, নীল কমল সুশীল, পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন মরহুম ইব্রাহিম বিন খলিলের ভাগিনা রাশেদুল হক চৌধুরী খোকন প্রমুখ।

সভাশেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইব্রাহিম বিন খলিলের রুহের মাগফিরাত ও দেশ-জাতির কল্যাণ কামনা করে মুনাজাত পরিচালনা করা হয়।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.