আওয়ামী লীগে অতিথি পাখিদের স্থান হবে নাঃ ওবায়দুল কাদের

0

সিটি নিউজঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সুন্দর সুন্দর ছবি দিয়ে রাস্তায় ব্যানার টাঙ্গিয়ে কেউ নেতা হতে পারবেন না। সেটা ঢাকায় প্রমান করে দিয়েছি। ঢাকা মহানগরে যাদের নামে বেশি শ্লোগান, যাদের নামে বেশি বিলবোর্ড, যাদের নামে বেশি পোস্টার তারা কেউ সভাপতি-সম্পাদক হতে পারেনি। আওয়ামী লীগ নেতা তৈরীর কারখানা। পোস্টার ব্যানার আর শ্লোগানের রাজনীতির দিন শেষ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা তৈরীর কারখানা। আমাদের বহু কর্মী আছে। খারাপ লোকের কোনো প্রয়োজন নেই। বুয়েটে আবরারকে যারা হত্যা করে- এই কর্মীর আমাদের প্রয়োজন নেই। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কথায় কথায় যারা কলহ করে, মারামারি করে এই কর্মীর আমাদের প্রয়োজন নেই। যারা রাজশাহীতে অধ্যক্ষকে পানিতে ফেলে দেয় এই কর্মীর আমাদের কোনো প্রয়োজন নেই।

মাস্তানি করে, গডফাদারগিরি করে নেতা হওয়া যাবে বলে দলের নেত কর্মীদের হুশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আমরা সুশৃঙ্খল আওয়ামী লীগ চাই, সুসংগঠিত আওয়ামী লীগ চাই। বিশৃঙ্খলা চাই না। সুবিধাবাদীদের দলে চাই না। অতিথি পাখিদের স্থান হবে না আওয়ামী লীগে। ত্যাগী কর্মীদের নেতা বানানো হবে।

গতকাল শনিবার সকালে দীর্ঘ ৭ বছর পর অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। সম্মেলন উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, আজকের কাউন্সিলে এমন কাউকে নির্বাচিত করা হোক যে কখনো দুর্নীতি করবে না, চাঁদাবাজি করবে না। তিনি চট্টগ্রামের সাবেক নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরী, আখতারুজ্জামান বাবু ও আতাউর রহমান খান কায়সারকে স্মরণ করে বলেন, এক সময় মঞ্চে চট্টগ্রামের সাবেক এই নেতারা বসতো। কিন্তু আজ কেউ বেঁচে নেই। আগামী সম্মেলন পাবো কিনা জানি না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতে হবে।

বিশেষ অতিথি মাহবুব-উল-আলম হানিফ এমপি বলেন, বাংলাদেশ এক সময় সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত দেশে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি দেশ। আওয়ামী লীগের উপর জনগণের আস্থা রয়েছে। মানুষের ভরসার জায়গা আওয়ামী লীগ। আমরা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সুদিনের বাতাসে গা ভাসিয়ে দলে এখন অনেক অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে। তাদের খুঁজে বের করে দল থেকে ছাঁটাই করতে হবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির রাজনীতি দুর্নীতিবাজ খালেদা জিয়া ও তার দুর্নীতিবাজ পুত্র তারেকে সীমাবদ্ধ। যাদের রাজনীতি দুর্নীতিবাজদের উপর নির্ভরশীল, তাদের থেকে দেশের জনগণ কি আশা করবে। তার নমুনা তাদের আইনজীবীরা দিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টে হট্টগোল করে দেখিয়েছে। খালেদার মুক্তির আগে যে দল আইন মানে না। তাহলে খালেদা মুক্তি পেলে তারা কি করবে, তা চোখ বন্ধ করে বলা যায়।

উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম, আওযামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষা উ-মন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, কেন্দ্রীয় উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।।

 

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.