স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করা যাবে নাঃ আমু

0

সিটি নিউজঃ বাংলাদেশের স্বাধীনতা একদিনে অর্জন হয়নি। স্বাধীনতার জন্য জাতির জনক যুগের পর যুগ আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। জীবনের মূল্যবান সময় তিনি বাঙ্গালির মুক্তির জন্য জেলে কাটিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের মানুষের রক্তের ফসল স্বাধীনতার ইতিহাস। এখন সময় এসেছে এ ইতিহাস নতুন প্রজন্মের হাতে তুলে দেওয়ার। স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করা যাবে না।

আজ রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) নগরীর এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার স্বৃতিচারণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এমন মন্তব্য করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আমির হোসেন আমু।

এসময় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট সাংবাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বিজয় মেলা পরিষদের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুচ, বিজয় মেলা পরিষদের কো-চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম, মুক্তিযোদ্ধা আবুল মনসুর, মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসেম, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, এ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুন চৌধুরী বক্তৃতা করেন।

আমির হোসেন আমু বলেন, বাঙ্গালির প্রাণের নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তারঁ আহ্বানে বাংলার আপামর জনতা সংসার-ধর্ম ত্যাগ করে স্বাধীনতার জন্য জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করেছে। ৭ই মার্চের ভাষন শুনে বাঙ্গালিরা ঘরে বসে থাকতে পারেনি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির জনক বাঙ্গালির অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কাজ করেছেন। তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক স্বাধীনতা স্বার্থক হবে না যদি অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে না পারা যায়। তিনি বলেন, জিয়া ও মোশতাকের ষড়যন্ত্রে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল। সে জন্য দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিও স্থবির হয়ে পড়েছিল।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর পিতার অসমাপ্ত কাজের ভার নিজের দায়িত্বে এখন বাস্তবায়ন করছেন । দেশের মানুষ এখন সুখে আছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যোগাযোগ সবক্ষেত্রে উন্নয়নের জোঁয়ার লেগেছে। শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের মানুষের আশা-ভরসার স্থান। তাঁর সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারলে ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ উন্নত দেশের তালিকায় আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.