পটিয়ায় ফুট ওভার ব্রীজ নেই-মৃত্যুর ঝুঁকিতে পারাপার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা
সুজিত দত্ত, পটিয়া প্রতিনিধিঃ দক্ষিণ চট্রগ্রামের সাবেক মহকুমা সদর ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সূতিকাগার পটিয়া একটি অগ্রসর জনপদ। শিক্ষা-সংস্কৃতি, শিল্প-সাহিত্য, ব্যবসা-বাণিজ্য ও রাজনীতিতে রয়েছে এর সমৃদ্ধ ঐতিহ্য। চট্রগ্রামের পটিয়া পৌর সদর প্রানকেন্দ্রে অবস্থিত।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, চট্রগ্রাম – ককবাজার মহাসড়ক সংলগ্ন ২০টি বিদ্যালয়ের প্রবেশ ও বাহির পথ মহাব্যস্ততম সডকের পাশে। স্কুল, কলেজ, ও কিন্ডার গার্ডেন সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পটিয়া আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়, এ,এস, রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়, মোহছেনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পটিয়া সরকারী কলেজ, সেন্টার স্কুল এন্ড কলেজ, শিশু নিকেতন কিন্ডার গার্টেন, পোষ্ঠ অফিস মোড় ,সহ ২০ টি বিদ্যালয়ে প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষাথীদের জন্য কোনো ফুট ওভার ব্রীজ বা গাড়ীর গতিরোধ বাঁধ না থাকায় প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সড়ক পারাপার করতে হচ্ছে। সড়কে বেপোরোয়া দ্রুতগামী যানবাহনের ধাক্কায় গুরতর আহত ও বেশ কিছু মৃত্যুবরণসহ অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।
বর্তমানে জনসংখ্যা ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বৃদ্ধির কারনে শিক্ষার্থীসহ সাধারন জনগন ব্যস্ততম সড়ক পারাপারে জীবনে ঝুঁকি নিয়ে চলাচলে প্রতিদিন দুঘটনার শিকার হচ্ছেন। এ ছাড়া পটিয়া হাসপাতালে আসা রোগী ও তাদের স্বজনেরাও হাসপাতালে প্রবেশ ও বাহিরপথ সড়ক সংযুক্ত হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টারে বিয়েসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে আসা লোকজনও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, একটু অসতর্ক হলেই ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা । এতে আনন্দ অনুষ্ঠান মুহুর্তে বিষাদে পরিনত হতে পারে।
দৈনন্দিন কেনাকাটা করতে আসা লোকজন চলাচলে চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এ বিষয়ে অবিভাবক পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম কিবরিয়া, সাহিত্যচর্চা পরিষদ ও সাবেক ছাএ নেতা চট্রগ্রাম জি, এম ফয়সলসহ অনেকে জানান, যে কোনো মহুর্তে বেপোরোয়া দ্রুতগামী যানবাহননের ধাক্কায় প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুকি নিয়ে ব্যস্ততম সড়কে রাস্তা পারাপারে শিক্ষার্থীসহ সাধারন জনগন দুঘটনার শিকার হচ্ছে। অনেকের প্রানহানিসহ গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বলেন করেছেন।
সস্প্রতি যানবাহনের ধাক্কায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীসহ পথচারীর মৃত্যুসহ অনেকে পঙ্গ হয়েছেন। তাই পটিয়াবাসির দীঘদিনের প্রাণের দাবী অবিলন্বে উড়াল সেতু নির্মাণের জন্য পটিয়ার সাংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর হস্তক্ষেপ কামনা করছে।
এ,এস ,রাহাত আলী উচচ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রাধান শিক্ষক, সাহাদাত হোসেন ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সরওয়ার হায়দার বলেন, আমার স্কুলে ১৮শ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন স্কুল ছুটির পর অত্যাধিক ঝুঁকি নিয়ে সড়ক পারাপার হচ্ছে একটু অসতর্ক হলেই ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ও হুইপ সামশুল হক চৌধূরী জনগনের দাবীর প্রতি সহমত পোষণ করে বাস্তবাতা স্বীকার করে বলেন, মহাব্যস্ততম সড়ক সংলগ্ন অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তিনি শিক্ষার্থীদের সতর্কতার সহিত চলাচলের পরামর্শ দেন। তবে ফুট ওভার ব্রীজ নির্মাণের বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন বলে আশ্বাস দেন।
পটিয়া পৌর মেয়র ও আদর্শ উচচ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অধ্যাপক হারনুর রশিদ বলেন, আমি এ ব্যাপারে মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। স্কুলের শিক্ষার্থীসহ জনসাধারনে চলাচলে জীবনের ঝুঁকি ও নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে স্থানীয় সাংসদ সদস্যসহ সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্তৃপক্ষ’র সাথে আলোচনার মাধ্যমে ফুর্ট ওভার ব্রীজ নির্মাণের চেষ্ঠা করছি।
সড়ক ও জনপদ বিভাগ দোহাজারী নিবাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ জানান, এ ব্যাপারে আমি আন্তরিক তবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে উড়াল সেতু নির্মাণের চেষ্টা করবেন বলে জানান।