কালুরঘাট সেতুর জন্য পিয়নের কাছেও যেতে হয় যাবোঃ মোছলেম
বোয়ালখালী প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম- ৮ আসনে উপ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোছলেম উদ্দিন আহমদ বলেছেন, চট্টগ্রামের দুঃখ খ্যাত কালুরঘাট সেতুর জন্য যদি পিয়নের কাছেও যেতে হয় আমি যাবো। ২০০৮ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাছে আমি কালুরঘাট নতুন সেতুর জন্য দাবি জানিয়েছিলাম। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সেতু করবেন। আমাকে নির্বাচিত করলে ১বছরের মধ্যে এ সেতু দৃশ্যমাণ করবো।
আসন্ন নির্বাচন চট্টগ্রামের জন্য একটি অত্যন্তগুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। চট্টগ্রাম ৮ আসন একটি সমৃদ্ধ এলাকা ছিলো। বর্তমানে এ এলাকা অনেকাংশে পিছিয়ে পড়েছে। চট্টগ্রাম শহরের উপকণ্ঠের বোয়ালখালী উপজেলাও শিক্ষা, দীক্ষা, সংস্কৃতি ক্রীড়ায় এমনকি আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রণী ছিলো এ অঞ্চল। কানুনগোপাড়া স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজে পড়তে বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষজন এ এলাকায় আসতো। কর্ণফুলী নদীতে নৌকা দিয়ে ২টাকায় শহরে চলে যাওয়া যেতো। আজ অন্যান্য উপজেলা সব ক্ষেত্রে এগিয়ে গেলেও আমরা পিছিয়ে রয়েছি।
আজ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার শাকপুরা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের মিলন মেলায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, চকরিয়া-কক্সবাজারের মানুষ তো আর এ অঞ্চলের মানুষে দু:খ সুখের কথা জানে না। যিনি সবসময় সরকারের বিরোধীতা করেন, তিনি কি করে সরকার থেকে কাজ আনতে পারবেন ? জাতীয় রাজনীতির কথা চিন্তা না করে এ অঞ্চলের উন্নয়নের কথা ভেবে যে সরকার থেকে কাজ আনতে পারবে, তাকে আল্লাহর ওয়াস্তে নৌকায় ভোট দিন।
এ সময় তিনি বলেন, আমি এমপি ছিলাম না অথচ মানুষ আমকে গালি দিতো সেতুর জন্য। বলতো, বাদল আর মোছলেম উদ্দিনের ঝগড়ার কারণে সেতু হচ্ছে না। আমি বলতে চাই এ এলাকার কোনো উন্নয়ন কাজে আমি বাঁধা দিইনি বরং সহযোগিতা করেছি। এমপি না হয়েও বোয়ালখালী পৌরসভা প্রতিষ্টা করেছি, স্কুল কলেজের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ভবন এনেছি। আসন্ন উপনির্বাচনে সাংসদ নির্বাচিত হলে বোয়ালখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের ব্যবস্থা করবো, প্রয়াত সাংসদ বাদলের অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করবো, এ অঞ্চলে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ার তোলার চেষ্ঠা করবো। অনেক স্কুল কলেজের অবস্থা জরাজীর্ণ রয়েছে, যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভালো নেই।
তিনি বলেন, সবাই তো আওয়ামী লীগ করে না। কেউ বিএনপি, কেউ জাতীয় পার্টি আবার রাজনীতি করে না এমন মানুষও অনেক আছেন। তবে সবারই দেশ প্রেম রয়েছে। মানুষ চাই কাজ, কিছু আয় উন্নতি হোক। ১৯৭৩ সালের পর এ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী এমপি হতে পারেননি। এবার বাদলের মৃত্যুতে শুণ্য হওয়া এ আসনে আমাকে মনোনয়ন দেওয়ায় নগর-গ্রামে যে উচ্ছ্বাস দেখতে পারছি, তাতে নৌকার বিজয় কেউ রুখতে পারবে না। এখন সুযোগ এসেছে নৌকায় ভোট দিয়ে এলাকার উন্নয়ন করার। আগামী ৪ বছর আপনাদের সেবক হয়ে থাকতে চাই।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা এসএম সেলিম, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরী, সহ সভাপতি রেজাউল করিম বাবুল, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মোকারম, আওয়ামী লীগ নেতা জহিরুল আলম জাহাঙ্গীর, ইউপি চেয়ারম্যান মো.বেলাল হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা হারুণ মিয়া, মাহবুবুর রহমান, বন গোপাল দাশ, শরৎ বড়ুয়া, চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর বোয়ালখালী জোনাল ম্যানেজার রফিকুল আজাদ, এলাকার পরিচালক মো.আশরাফ উদ্দিন কাজল, পৌরসভা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক জহুরুল ইসলাম জহুর, প্যানেল মেয়র এসএম মিজানুর রহমান ও দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এসএম বোরহান উদ্দিন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় নগরীর বাস ভবনে বোয়ালখালী সম্মিলিত বৌদ্ধ পরিষদের নেতৃবৃন্দ, সকাল সাড়ে ৯টায় মোহরা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ, সকাল ১১টায় চান্দগাঁও ছাত্র-যুব নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় যোগদেন তিনি। এছাড়া রাতে নগরীর একটি কনভেনশন হলে চট্টগ্রাম সমিতি বন্দরের মিলন মেলায় যোগদানের কথা রয়েছে।