কক্সবাজারে ভুয়া চিকিৎসকসহ আটক ৫
সিটি নিউজ ডেস্ক : কক্সবাজার শহরে চিকিৎসাসেবার নামে প্রতারণা ও নকল ওষুধ বিক্রির অভিযোগে একটি কথিত চিকিৎসা কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে ভুয়া চিকিৎসকসহ পাঁচজনকে আটক করেছে কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
শুক্রবার রাতে ডিবি পুলিশের একটি দল শহরের বার্মিজ মার্কেট এলাকার আব্দুল্লাহ গ্যারেজ বিল্ডিং-এর ৩য় তলায় অবস্থিত ‘সেবা মেডিক্যাল হল’ নামের ওই ভুয়া চিকিৎসাকেন্দ্রে অভিযান চালায়।এ সময় বিপুল পরিমাণ নকল ওষুধ জব্দ করা হয়।
অভিযানে আটককৃতরা হলো কক্সবাজার সদরের জালালাবাদ এলাকার মৃত মোজাহের আহম্মেদের পুত্র কথিত ডাক্তার মহিদুল ইসলাম (৩৩), চট্টগ্রামের রাউজান বাগোয়ান এলাকার মো. হানিফের পুত্র বর্তমান কক্সবাজার বাসটার্মিনাল লারপাড়ার এলাকার বাসিন্দা মো. ইয়াছিন (২৫), কক্সবাজার শহরের কালুরদোকান এলাকার রফিক উদ্দীনের পুত্র নাসির উদ্দিন (২৯), উখিয়া উপজেলার কোটবাজার চৌধুরী পাড়ার শামসুল আলমের পুত্র মো. ওসমান (১৯) এবং বগুড়া জেলার গাবতলী এলাকার মো. জাকিরের পুত্র মো. শাহীন (৩০)।
তাদের বিরুদ্ধে শনিবার কক্সবাজার সদর থানায় মামলা দায়েরের পর তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর মানস বড়ুয়া।
তিনি জানান, টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ডেইঙ্গারকাটা এলাকার নাসিমা খাতুন (৪৫) নামে এক নারী ডিবি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন যে কক্সবাজার শহরের বাজারঘাটা বার্মিজ মার্কেট এলাকার আব্দুল্লাহ গ্যারেজ বিল্ডিং-এর ৩য় তলায় ‘সেবা মেডিক্যাল হল’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে দালালদের প্ররোচনায় চিকিৎসা নিতে যান তিনি।
এরপর তাকে ভুয়া চিকিৎসা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ভেজাল ওষুধ দিয়ে ১৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় ওই প্রতিষ্ঠানের কথিত চিকিৎসক ও কর্মচারীরা। এরপর আরো ১৫ হাজার টাকা দেয়ার জন্য চাপ দেয়া হয়। অথচ ওই চিকিৎসায় কোনো সুফলই পাননি ওই অসুস্থ নারী। পরে নিরূপায় হয়ে তিনি ডিবি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন।
মানস বড়ুয়া আরো জানান, একই অভিযানে আরেক কথিত কবিরাজি চিকিৎসক বাজারঘাটার কসতুরী হার্বাল দাওয়াখানার ভুয়া চিকিৎসক সোলাইমানসহ আরো কয়েকজন পালিয়ে যায়। তবে সেখান থেকেও বিপুল পরিমাণ ভেজাল ওষুধ জব্দ করা হয়েছে।
সেবা মেডিক্যাল হল এবং কসতুরী হার্বাল দাওয়াখানার মতো অসংখ্য ভুয়া চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে প্রতারণা ও অপচিকিৎসার শিকার হচ্ছে নিরীহ লোকজন। এসব ভুয়া চিকিৎসকরা দালাল নিয়োগ করে গ্রাম থেকে শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা নিরক্ষর লোকজনকে প্রলোভনে ফেলে তাদের প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যায়। সেখানে দুরারোগ্য ব্যাধির ভয়ভীতি দেখিয়ে নকল ও কথিত চিকিৎসসেবা দিয়ে রোগীর কাছ থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়া হয়।