চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু

0

সিটি নিউজ,আনোয়ারা :  চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা উপজেলায় গাইনি চিকিৎসক পরিচয়দানকারী সেলিনা আকতারের ভুল চিকিৎসায় এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে নিহতের পরিবারকে দুই লাখ টাকা, মধ্যস্থতাকারী পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদের অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার(৮ জানুয়ারী) রাতে উপজেলার মহালখান বাজারের দক্ষিণে সেলিনার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর রাতে ওই প্রসূতি নারীর লাশ নিয়ে সেলিনার বাড়িতে বিক্ষোভ করেন স্বজনরা।

নিহত নারীর স্বজনরা জানান, উপজেলার জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের খুরুসকুল গ্রামের হাজী বাড়ির ফোরক আহমদের স্ত্রী ছলিমা আকতার ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বুধবার বিকেলে অসুস্থ বোধ করেন।

তার স্বামী ফোরক আহমদ তাকে মহালখান বাজার সংলগ্ন গাইনি চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত সেলিনা আকতারের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে সেলিনা ছলিমাকে একটি কক্ষে নিয়ে চিকিৎসা করেন। কয়েক মিনিট পর সেলিনা ছলিমার স্বামীকে বলেন রক্তক্ষরণে রোগী অজ্ঞান হয়ে পড়েছে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে রোগীকে গাড়িতে তুলতে গিয়ে স্বজনরা বুঝতে পারেন ছলিমা মারা গেছেন।

এদিকে, রাতে নিহত ছলিমার পরিবারের লোকজন লাশ নিয়ে অভিযুক্ত সেলিনার বাসার সামনে বিক্ষোভ করেন। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ উপস্থিত হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এ নিয়ে রাত ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মধ্যস্থতায় সমঝোতা বৈঠক চলে। পরে নিহতের পরিবারকে দুই লাখ টাকা দেয়ার শর্তে সমঝোতা হলে লাশ নিয়ে বাড়ি ফেরেন নিহতের স্বজনরা।

স্থানীয়রা জানান, নিজেকে গাইনি চিকিৎসক পরিচয়দানকারী সেলিনা আকতার এক সময় পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে চাকরি করতেন। চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর মহালখান বাজার সংলগ্ন নিজ বাসায় চেম্বার খুলে প্রসূতি নারীদের ডেলিভারি করিয়ে আসছেন।

এর আগে ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ উঠে বারশত ইউনিয়নের কালীবাড়ি এলাকার খোরশিদা আক্তার নামের এক প্রসূতির মৃত্যু হয় এ চিকিৎসকের হাতে।

অভিযুক্ত সেলিনা আকতার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। এ সময় সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি চিকিৎসক নন জানিয়ে দ্রুত ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শাহ আলম সুমন বলেন, ঘটনাটি উভয় পক্ষের সমঝোতায় মীমাংসা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষে অভিযোগ না পাওয়ায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.