মহেশখালীতে ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের ১২৮তম জন্মবার্ষিকী উৎযাপন

0

ধর্মকথা : যুগাবতার শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের ১২৮তম জন্ম শত বার্ষিকী মহা-মহোৎসব উপলক্ষে ২১ ও ২২ সেপ্টেম্বর দু’দিনের ব্যাপক কর্মসূচি আশ্রম অঙ্গনে সাড়ম্বড়ে অনুষ্ঠিত হয়।

মহেশখালী পুটিবিলা সৎসঙ্গের উদ্দ্যোগে আয়োজিত কর্মসূচিতে ছিল শুভ অধিবাস, ঠাকুর পূজা, “অনুকূল জীবনাদর্শ পূর্ণ মনুষ্যত্বের বিকাশ সাধনে যুগোপযোগি বিধি-বিধান” শীর্ষক ধর্ম আলোচনা সভা, দীক্ষা, সঙ্গীতাঞ্জলি, সদ্গ্রন্থাদি পাঠ ও আনন্দ বাজার।

আশ্রম পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রবীণ শিক্ষক শশাংক মোহন দে’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ধর্ম সভায় প্রধান অতিথি ও প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ আনোয়ারুল নাসের এবং খ্যাতিমান ভাষ্কর ডি.কে. দাশ (মামুন)। কর্মসূচির উদ্বোধন করেন- এস.পি.আর. ডাঃ অনিল কান্তি দে।

শিক্ষক প্রিয়দুল পালের সঞ্চালনায় সম্মানিত বিশেষ অতিথি বৃন্দের মাঝে ছিলেন- মহেশখালীর সাবেক পৌর মেয়র রাজনীতিবিদ সরোয়ার আজম, শিক্ষাবিদ বাবুল কান্তি দাশ, অধ্যাপক আশীষ চক্রবর্তী, মহেশখালী ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন অফিসার দুলাল মিত্র, সমাজসেবী যীশু চৌধুরী, সংগঠক ও সমাজকর্মী তুষার কান্তি দে ও সংগঠক মোশাররফ হোসেন খান রুনু।

আলোচনায় বক্তারা বলেন- যুগ সমস্যা নিরাকরণে বিশ্ব সংসঙ্গ হল মানুষ গড়ার যথার্থ পাঠশালা। কৃষি, শিক্ষা, শিল্প, সু-বিবাহ ও সুপ্রজনন এই চারি স্তম্বের উপর দাড়িয়ে সৎসঙ্গ আদর্শিক জীবন চর্যায় সমাজকে নিরন্তর প্রণোদনা দিয়ে চলেছে। আদর্শিক শিক্ষা, উন্নয়ন নির্ভর কৃষি, যুগোপযোগি শিল্প আর অনুলোম-প্রতিলোমের অভিঘাত হতে সমাজকে রক্ষায় সুবিবাহের মধ্য দিয়ে জগতে সু-সন্তান এনে সকল দৈব-দুর্বিপাক অশনি থেকে রক্ষার কৌশল-ই সৎসঙ্গের জীবন চর্যা। এরূপ জীবনমুখি ধর্ম চর্চা একজন মানুষকে কখনও নৈষ্টিক চেতনায় বিপর্যস্ত করতে পারে না, সাবাড় করে দিতে পারেনা কোনো লোক সৃষ্ট কিংবা প্রকৃতি সৃষ্ট প্রলয় অভিঘাত।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন- আশ্রম পরিচালনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গোপাল কৃষ্ণ দাশ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন উৎসব পরিচালনা কমিটির সভাপতি শিক্ষক অনুব্রত পাল। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে পালা কীর্ত্তন অংশ নেন কীর্তনীয়া শিমলা আচার্য এবং ঝিনুক সরকার।
……………………জুয়েল

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.