চন্দনাইশে পাহাড় কাটা নিয়ে ইউএনও-চেয়ারম্যানের বাক-বিতন্ডা

0

চন্দনাইশ প্রতিনিধিঃ উপজেলার হাশিমপুর আদর্শ গ্রামের পাশে সমতল করার নামে পাহাড় কেটে উজাড় করছে ভূমিদস্যুরা। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বাঁধা দিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। সে সাথে একটি স্কেভেটর ও একটি ডাম্পার আটক করেন। এ সময় ইউএনও’র সাথে ইউপি চেয়ারম্যানের বাক-বিতন্ডা হয়।

আজ সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল থেকে উপজেলার হাশিমপুর আদর্শ গ্রামে সরকারের নির্মাণাধীন আশ্রয়ণ প্রকল্পের পার্শ্বে সমতল করার নামে পাহাড় কেটে উজাড় করছে ভূমিদস্যুরা।

খবর পেয়ে বিকেলে হাশিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলমগীরুল ইসলাম চৌধুরী ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঁধা প্রদান করেন।

তিনি বলেন, পাহাড় কাটার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যান। পাহাড় কাটার সময় একটি স্কেভেটর, একটি ডাম্পার (কক্সবাজার-শ-১১-০০১৭) আটক করে স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় দেন।

এ সময় তিনি মোবাইল ফোনে স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানা অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করেন। সংবাদ পেয়ে থানার এসআই বাবুল সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে যান। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ.ন.ম বদরুদ্দোজা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এ সময় নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়িতে একজন ঠিকাদার ও একজন সরকারী দলের ছাত্রলীগ নেতাকে দেখা যায় বলে তিনি জানান।

তিনি আরো বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাশে সমতল করার নামে পাহাড়ের মাটি কেটে ভূমিদস্যুরা মাটির ব্যবসা করছে। এ ব্যাপারে সরেজমিনে তদন্ত করে পরিবেশ অধিদপ্তরকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ.ন.ম বদরুদ্দোজা বলেছেন, হাশিমপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাশে পাহাড় উঁচু হওয়ায় বৃষ্টি হলে পাহাড় ভেঙ্গে পড়ার আশংকা থাকায় পাহাড়কে ঢালু করার জন্য তাদেরকে বলা হয়েছে। এ জন্য তারা ইউএনও’র অনুমতি নিয়ে পাহাড়ের মাটি কাটছেন বলেছিল।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সমতল করার নামে পাহাড় কেটে উজাড় করছে মাটি দস্যুরা। এতকিছুর পরও আজ সোমবার সন্ধ্যার পর পর্যন্ত স্কেভেটর দিয়ে ৪/৫টি ডাম্পারে করে পাহাড়ের মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কোনভাবে বন্ধ করা যাচ্ছে না চন্দনাইশের পাহাড় কাটা।

শুষ্ক মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকে প্রশাসনের লোকজনকে ম্যানেজ করে উপজেলার জামিজুরী, কাঞ্চননগর, লালুটিয়া, হাশিমপুর, লট এলাহাবাদসহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ের মাটি কেটে নিয়ে ইট-ভাটাসহ বিভিন্ন জলাশয় ভরাট করা হচ্ছে।

একইভাবে ধানী জমির টপসয়েল প্রতিযোগিতামূলকভাবে স্কেভেটর দিয়ে কেটে ডাম্পারে করে নিয়ে গেলেও যথাযথ কতৃপক্ষ সম্পূর্ণ নিরব ভূমিকা পালন করছেন। ফলে, পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আশংকা করছেন পরিবেশবিদরা।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.