অ্যাওয়ার্ড প্রদানের মাধ্যমে নতুন শিল্প উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবেঃ বিভাগীয় কমিশনার

0

 

সিটি নিউজঃ চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ বলেছেন, সরকার আগামী ১০ বছরে তিন কোটি উদ্যোক্তা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। গ্রামে-গঞ্জে অনেক উদ্যোক্তা রয়েছে। তাদের সহযোগিতা দিয়ে শিল্পের মূল ধারায় নিয়ে আসতে হবে। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উদ্যোক্তাদের আরো আগ্রহি তৈরি করতে হবে।

আজ রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিভাগীয় কমিশনার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) কর্তৃক আয়োজিত ‘ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি এন্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০১৯ এবং ইনস্টিটিউশনাল এপ্রিসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড ২০১৯’ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

কর্মশালায় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. নূরুল আলম নিজামীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন এর পরিচালক নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার, জাতীয় ক্ষুদ্র কুটির শিল্প সমিতি বাংলাদেশ ( নাসিব) এর সভাপতি মির্জা নুরুল গনি শোভন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন (এনপিও) এর উর্ধ্বতন গবেষণা কর্মকর্তা মো. নুজরুল ইসলাম ও উর্ধ্বতন গবেষণা কর্মকর্তা মোসা. ফাতেমা বেগম।

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে হলে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো ঢেলে সাজাতে হবে। এর সাথে কারিগরি শিক্ষাও জরুরি বলে মন্তব্য করেন বিভাগীয় কমিশনার। তিনি বলেন, জমির স্বল্পতা থাকায় শিল্প প্রতিষ্ঠান ভার্টিকালী নির্মাণ করা প্রয়োজন। ব্যক্তি, যন্ত্রপাতি, কারখানা, সিস্টেম ইত্যাদি দক্ষ ব্যবহারের মাধ্যমে ইনপুটকে কার্যকরী আউটপুটে পরিণত করাই উৎপাদনশীলতা । এ প্রসঙ্গে বিভাগীয় কমিশনার আরো বলেন, ২০৩০ সালে এসডিজি বাস্তবায়ন করতে হলে দেশের প্রতিটি নাগরিকের অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক। সকলেরই এ অগ্রযাত্রায় অংশ নিতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো.নূরুল আলম নিজামী বলেন, শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ার ক্ষেত্রে কৃষিজমি ও মৎস্যসম্পদের ক্ষতি করা যাবে না। তিনি বলেন, উৎপাদনশীলতা প্রত্যেক নাগরিকের প্রয়োজন রয়েছে। এতে কর্মচারী-মালিক-ভোক্তা সকলেই সুবিধা পাবেন। উদ্যোক্তাদের সুবিধা দিয়ে শিল্পকে শিল্পের জায়গায় রাখা প্রযোজন।

উদ্যোক্তারা জানান, পণ্য বাজারজাত করতে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়, এটা শিথিল করা প্রয়োজন। শিল্প উদ্যোক্তাদের জমি রেজিস্ট্রেশন সহজিকরণ করা প্রয়োজন বলে জানানো হয়। সভায় দাবী করা হয় গুণগত ও মানসম্মত পণ্য উৎপাদনের জন্য উদ্যোক্তাদের পুরস্কার দেওয়া প্রয়োজন। শিল্প নগরী গড়ার ক্ষেত্রে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করার প্রস্তাব করা হয়। সেই সাথে নতুন শিল্প নগরী ঘোষণার সাথে সাথে পানি, বিদুৎ ও গ্যাস সংযোগ দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করা হয়।

 

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.