চট্টগ্রামের চার গুণীসহ ২০ ব্যক্তি পাচ্ছেন একুশে পদক
সিটি নিউজ : বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ চট্টগ্রামের চার জনসহ দেশের ২০ জন বিশিষ্ট নাগরিক ও একটি প্রতিষ্ঠানকে ২০২০ সালের একুশে পদক প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার।
চট্টগ্রামের চার গুণী হলেন- সমাজসেবায় সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, শিক্ষায় অধ্যাপক ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া, গবেষণায় হাফেজ ক্বারী আল্লামা সৈয়দ মোহাম্মদ ছাইফুর রহমান নিজামী শাহ, চিকিৎসায় অধ্যাপক ডা. সায়েবা আখতার।
সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান দেশের প্রথম সারির শিল্পপতি। পিএইচপি ফ্যামিলির কর্ণধার তিনি। সমাজসেবা, শিল্প, সাহিত্যে তাঁর অবদান রয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিদ্যা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া। তিনি রাউজানের আবুরখীল গ্রামের। অধ্যাপক ডা. সায়েবা আখতার চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
সায়েবাস মেথডের জন্য তিনি বিখ্যাত। বাংলাদেশের বাইরে বিশেষ করে উন্নয়নশীল ও পশ্চাৎপদ প্রযুক্তির দেশগুলোতে এই পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে। এসব দেশের মধ্যে আছে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ সুদান, কেনিয়া, সিয়েরা লিওন, ঘানা, তানজানিয়া, সেনেগাল, জাম্বিয়া, উগান্ডা, পেরু, হন্ডুরাস ও ইন্দোনেশিয়া। অনেক দেশে এটি সরকারি স্বাস্থ্য কর্মসূচির অংশ।
আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২০ সালের একুশে পদক প্রদান করবেন। গতকাল বুধবার সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পদকপ্রাপ্তদের এ তালিকা প্রকাশ করেছে।
স্বীকৃতি প্রদানের ক্ষেত্রসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নাম হচ্ছে- ভাষা আন্দোলনে মরহুম আমিনুল ইসলাম বাদশা (মরণোত্তর)। শিল্পকলায় (সংগীত) বেগম ডালিয়া নওশিন, শঙ্কর রায় ও মিতা হক। শিল্পকলায় (নৃত্য) মো. গোলাম মোস্তফা খান। শিল্পকলায় (অভিনয়) এস এম মহসীন। শিল্পকলায় (চারুকলা) অধ্যাপক শিল্পী ড. ফরিদা জামান। মুক্তিযুদ্ধে (মরণোত্তর) মরহুম হাজী আক্তার সরদার, মরহুম আব্দুল জব্বার ও মরহুম ডা. আ আ ম মেসবাহুল হক (বাচ্চু ডাক্তার)।
সাংবাদিকতায় জাফর ওয়াজেদ (আলী ওয়াজেদ জাফর)। গবেষণায় ড. জাহাঙ্গীর আলম ও হাফেজ ক্বারী আল্লামা সৈয়দ মোহাম্মদ ছাইফুর রহমান নিজামী শাহ। শিক্ষায় অধ্যাপক ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া। অর্থনীতিতে অধ্যাপক ড. শামসুল আলম। সমাজসেবায় সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। ভাষা ও সাহিত্যে ড. নুরুন নবী, মরহুম সিকদার আমিনুল হক (মরণোত্তর) ও বেগম নাজমুন নেসা পিয়ারি। চিকিৎসায় অধ্যাপক ডা. সায়েবা আখতার। এদিকে প্রতিষ্ঠান হিসেবে গবেষণায় বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট একুশে পদক পাচ্ছে।