পটিয়ায় দিপুর বাড়ীতে আনন্দের বন্যা

0

সুজিত দত্ত, পটিয়া প্রতিনিধিঃ ভারতকে হারিয়ে বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। আর সে দলেরই একজন চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার চরকানাই গ্রামের শাহাদাত হোসেন দিপু। মুজিব বর্ষের সূচনা লগ্নে জুনিয়রদের এই শিরোপা অর্জন বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।

দিপুর পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, ছোট বেলা থেকেই সারাদিন ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাতো দিপু। যার কারণে পড়ালেখায় তেমন মনযোগ ছিল না। চট্টগ্রামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছিল বলে তার বড় ভাই আবুল হোসেন জানান। দিপু ৩ বোন ও ২ ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট। তিন বোনই বিবাহিত ও বড় ভাই আবুল হোসেন ড্রাইভিং পেশায় নিয়োজিত রয়েছে। অপরদিকে দিপুর মা ফেরদৌস বেগমও ছেলের এই কৃতিত্বে মহাখুশি।

দিপুর বাবা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চাকুরির কারণে পুরো পরিবার ১৯৮৩ সালে থেকে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ভাড়া বাসায় থাকত। বর্তমানে নগরীর কাতালগঞ্জ এলাকার একটি ভাড়া বাসায় তারা থাকেন। ২০১০ সালে শাহাদাতের পিতা দূরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হয়ে যখন মারা যায়, তখন থেকেই সে ক্রিকেটের প্রতি অনুরাগী হয়। শাহাদাতের মা ফেরদৌস বেগম বলেন, অনূধর্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলতে শাহাদাত গত ১ জানুয়ারি ঢাকার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে রওনা হয়।

তার মা ফেরদৌস বেগম বলেন, দিপুর এই কৃতিত্বের পেছনে আমার বড় ছেলে আবুল হোসেনের অবদান সব চেয়ে বেশি। বর্তমানে দিপু শুধু আমার ছেলে নয়, সারা বাংলাদেশের ছেলে। আমি তার জন্য, তার দল ও দেশের জন্য দোয়া করি। তারা যেন আগামীতে আরো এগিয়ে যেতে পারে।

জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার নুরুল আবেদীন নোবেলের হাত ধরেই ক্রিকেট জগতে দিপুর পর্দাপণ। ইস্পাহানী ক্রিকেট একাডেমি থেকেই উঠে আসা দিপু এবার জয় করল বিশ্বকাপ। এবারের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে দারুণ খেলেছেন দিপু।

পাকিস্তানের বিপক্ষে পরিত্যক্ত হওয়া ম্যাচে করেছিলেন ১৬ রান। কোয়ার্টার ফাইনালে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করেন ৪০ রান। বাংলাদেশ দলের এই বিশ্বকাপ জয়ে পটিয়ার ছেলে দিপুর ভূমিকা ছিল মনে রাখার মতো।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.