আমার ওয়ার্ডে ১৪০ কোটি টাকার উন্নয়ন করেছিঃ মোরশেদ আকতার
নবী চৌধুরীঃ চট্টগ্রাম মহানগরীর ১১ নং দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডে পর পর দুইবার নির্বাচিত কাউন্সিলর মোরশেদ আকতার চৌধুরী। তিনি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য। ভিপি সরকারী সিটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্র সংসদ (৯৫-৯৬), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ (২০০৩), আহ্বায়ক পাহাড়তলী থানা ছাত্রলীগ (১৯৯৫)। যুগ্ম আহ্বায়ক, দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ড ছাত্রলীগ (১৯৯২), সভাপতি, পাহাড়তলী থানা বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা (৯৪-৯৫), সাবেক সাধারণ সম্পাদক বালু ভেলা খেলাঘর, ১১ নং কাট্টলী ওয়ার্ড শাখা ও সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগর।
কাউন্সিলর মোরশেদ আকতারের পিতা আলহাজ্ব আমিনুল হক চৌধুরী সরাইপাড়া ১২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। মাতা মর্জিনা বেগম ১৯৮৮ সালে সরাইপাড়া মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। বোন শিরিন আকতার সভাপতি ১১ নং দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লী, চট্টগ্রাম মহানগর।
কাউন্সিলর মোরশেদ এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করেন। ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে, স্বৈরাচারিনী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনে অংশ গ্রহন ও একাধিকবার কারাবরণ করেছেন। ১৫ ফেব্রুয়ারী ১৯৯৬ সালে খালেদার নীল নকশার নির্বাচন প্রতিহত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ২০০১ সালে খালেদা-নিজামী জোট সরকারের আমলে রাষ্ট্রীয় মদদে দীর্ঘ সাতমাস কারাগারে ছিলেন কাউন্সিলর মোরশেদ।
সৎ, সাহসী, সদালাপী মোরশেদ আকতার চৌধুরী আজকের সূর্যোদয়কে একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, রাজনীতি করি মানুষের সেবা করার লক্ষেই। মানুষের পাশে ছিলাম আপদে বিপদে, সুখে দুঃখে। বিগতদিনে দুইবার কাউন্সিলরের দায়িত্বে থাকায় এলাকার উন্নয়ন ও সামাজিক কর্মকান্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছি।
মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে আওয়ামী লীগের পরিবারের সদস্য হিসেবে রাজনীতির মানচিত্রে বিচরণ হলেও সামাজিকতায় মানুষের কল্যাণে কাজ করছি। আমার ওয়ার্ডে বিগত সাড়ে ৪ বছরে উন্নয়ন কর্মকান্ড সমাপ্ত ও চলমান প্রায় ১৪০ কোটি টাকার কাজ হয়েছে। এলাকায় মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে অনেকটা সফল হয়েছি। এলাকার রাস্তাঘাট, নালা নর্দমা সংস্কারসহ ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে যা মানুষ সুফল ভোগ করছে।
সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিনের আন্তরিক সহযোগীতাকে আমি শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করছি। ভোগ বিলাসিতায় নয়, ত্যাগেই আমার সন্তুষ্টি। আমি রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য। মানুষের সেবক হয়ে কাজ করছি। আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আমি দলীয় সমর্থন পেলে কাউন্সিলর প্রার্থী হবো।
দলীয় সিদ্ধান্ত আমি মেনে নেব। গত সাড়ে ৪ বছরে আমার ওয়ার্ডে মা আয়েশা জামে মসজিদ ও কবরস্থান নির্মাণ, ফইল্যাতলী বাজার বহুতল কিচেন মার্কেট কাম কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স নির্মাণ, ওয়ার্ড কার্যালয় নির্মাণ, এ ব্লক মেইন রোড ও নালার উন্নয়ন ১-১৬ নং লেইন পর্যন্ত। জে ব্লক মেইন রোড ও নালার ১, ২ নং রোডের উন্নয়ন।
হালিশহর আই ব্লক মেইন রোড, লেইন নালার উন্নয়ন-১-১৫। হালিশহর এ ব্লক ২ নং রোডের উন্নয়ন। নয়া বাজার বিশ্বরোড হতে ফইল্যাতলী বাজার পর্যন্ত চলমান রয়েছে উন্নয়ন কাজ, তবে ৮০% শেষ পাঠান পাড়া এর উন্নয়ন, মুরগীর ফার্ম রোডের উন্নয়ন, কলেজ রোড উন্নয়ন, ছদু চৌধুরী রোডের উন্নয়ন, প্রাণহরি দাশ রোড এর উন্নয়ন, সোনালী বীচ সিটি আবাসিক এলাকার উন্নয়ন, শাপলা আবাসিক এলাকার উন্নয়ন, উত্তর নাথ পাড়া রোড এর উন্নয়ন, লক্ষী মহাজন বাড়ী রোড উন্নয়ন। বনিকপাড়া রোড এর উন্নয়ন, শীল পাড়া রোডের উন্নয়ন, খাস্তগীর বাড়ী রোডের উন্নয়ন, ধোপা পাড়া রোড এর উন্নয়ন, বিটাক রোডের উন্নয়ন, শ্যামলী আবাসিক এলাকার রোডের উন্নয়ন, জেলেপাড়া রোডের উন্নয়ন।
এভাবে আমার ওয়ার্ডের অলিগলি রাস্তা নির্মাণ, সংস্কার, ব্রীজ, কালভার্টসহ স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, কবরস্থান উন্নয়নে কাজ করেছি। পবীত্র রমজান মাসে ইফতার সামগ্রী, ঈদের সময় শাড়ী লুঙ্গি দুস্থদের মাঝে বিতরণ করেছি। এছাড়া আমার এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছি। দুস্থ মানুষের সেবায় মাননীয় প্রধামন্ত্রীর প্রদত্ত বয়স্কভাতা, প্রতিবন্ধিভাতা, মাতৃকালীন ভাতা, মুক্তিযোদ্ধাভাতাসহ নানা সাহায্য সহযোগীতা মানুষকে প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মযজ্ঞ আমরা করে যাচ্ছি।
দুস্থ মানুষের সেবায় বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও নিম্নবিত্ত মানুষকে ন্যায্য মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রয়, শীতবস্ত্র বিতরণসহ নানা সামাজিক কর্মকান্ডে এরাকাবাসীর দোয়া ও আশীর্বাদে পথ চলছি। আমি আবার নির্বাচিত হলে এলাকায় অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করার সুযোগ পাব ইনশাল্লাহ্। এলাকার উন্নয়ন ও সামাজিকতায় সবসময় মানুষের পাশে ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও থাকবো। আমি এলাকাবাসীর দোয়া আশীর্বাদ কামনা করছি।