কাউন্সিলর সোহেল উন্নয়নে পাল্টে দিয়েছেন ওয়ার্ডের চিত্র

0

জুবায়ের সিদ্দিকীঃ চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ একটি বিশাল অংশ নিয়ে নগরীর ২৭ নং ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর এইচ এম সোহেল। বিগত সাড়ে ৪ বছরে প্রচুর কাজ করেছেন । ব্যাপক উন্নয়নে পাল্টে দিয়েছেন এলকার চিত্র। চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রথম আবাসিক এলাকা সিডিএ ও একসেস রোডসহ বিভিন্ন জনপদে রাস্তাঘাট কালভার্ট, নর্দমার কাজ হয়েছে। সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেটের উপরে হাইটেক পার্ক হচ্ছে। এখানে ১০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। সাহসী, সদালাপী, অবহেলিত মানুষের সাথী, সংগঠক ও আওয়ামী লীগ নেতা আগ্রাবাদ বেপারীপাড়ায় একটি বনেদি পরিবারের সদস্য তিনি।

তার বাবা ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। দাদা ছিলেন প্রখ্যাত আলেম ও কামেল ব্যক্তিত্ব মরহুম মাওলানা আব্দল হাই ছাহেব। তার চাচা বিশিষ্ট আলেম মরহুম মাওলানা আবু দাউদ, যিনি হযরত গরীবুল্লাহ শাহ (রঃ) এর মসজিদের খতিব ছিলেন। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সোহেল ছাত্রজীবন থেকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে রাজনীতিতে জড়িয়ে সমাজসেবায় ও ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে প্রশংসীত হয়েছেন। শ্রম, মেধা মননে দিনরাত পরিশ্রম করে ২৭ নং ওয়ার্ডকে সাজিয়েছেন নান্দনিকভাবে।

কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর এ পর্যন্ত এলাকায় উন্নয়নে খরচ হয়েছে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা। জাম্বুরী মাঠে সদ্য নির্মিত ওয়াক ওয়ে পার্ক এলাকাকে দৃষ্টিনন্দন করেছে। বহুতলা কলোনীতে হচ্ছে খেলার মাঠ। সিডিএর ২৩ নম্বরে হচ্ছে ডিএমভিএফ প্রজেক্ট। একসেস রোড হয়েছে চার লেইনে।

কাউন্সিলর হওয়ার পর থেকে নিজ ওয়ার্ডে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত জন্য ন্যায্য মূল্যের চাল-ডাল, চিনি-তেল, আটাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ২টি মিনি ট্রাকে করে বিক্রির ব্যবস্থা চলমান রয়েছে। শীতবস্ত্র বিতরণ, বয়স্কভাতা, গর্ভকালীন ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, প্রতিবন্ধি ভাতাসহ নান সামাজিক উদ্যোগ এলাকায় প্রশংসীত হয়েছে। সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল পথ চলা এই কাউন্সিলর সোহেল সাম্প্রতিক সময়ে সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে লাল দিঘীর পাড় ময়দানে বিশাল মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করে সমাবেশকে সাফল্য মন্ডিত করেছেন প্রশংসীতভাবে।

২৭ নং দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ডে সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেট, লাকী প্লাজা, সাউথ ল্যান্ড মার্কেট, শিশু হাসপাতাল, সরকারী কার্য ভবন- ১ ও ২ সহ কর বিভাগের প্রধান অফিস, জাম্বুরী মাঠে ওয়াক ওয়ে পার্ক, চর্ম রোগ হাসাপাতাল, সিডিএ মহিলা কলেজসহ রয়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। ২৭ নং ওয়ার্ডে এমন কোন অলিগলি নেই যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। নির্মিত হচ্ছে সুইচ গেইট। সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে রয়েছেন সোচ্চার। একজন সফল ব্যাক্তিত্ব ও একজন সফল কাউন্সিলর অবহেলিত এই ওয়ার্ডকে একটি মডেল ওয়ার্ডে রুপান্তর করেছেন। সমাজে ছিন্নমূল মানুষ, নির্যাতিত মানুষ ও নিম্নবিত্তদের পাশে সব সময় সক্রিয় এই রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক ও কাউন্সিলর এইচ এম সোহেল আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আবারো প্রার্থী হলে এলাকাবাসীর বক্তব্য হচ্ছে, মানুষ অবশ্যই এই পরিশ্রমি ও সফল কাউন্সিলরকে মূল্যায়ণ করবে।

গত সপ্তাহে কাউন্সিলর এইচ এম সোহেল একান্ত আলাপ চারিতায় বলেন, দীর্ঘদিন যাবত আমরা নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশ করেছি। গত সপ্তাহে একটি বিশাল সমাবেশ লাল দিঘীতে করেছি। সেখানে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের ডিজি, পুলিশের এডিশনাল কমিশনার আমেনা বেগমসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আপনি জানেন, আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডে মানুষকে সচেতন করতে কাজ করেছি। আমরা মানুষের ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। পুলিশ প্রশাসন এ ব্যাপারে যথেষ্ট সহযোগীতা করেছেন।

মাননীয় মেয়র মহোদয় পুলিশ প্রশাসনকে যেভাবে বলেছেন সেভাবে পুলিশ মাদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। আমার ওয়ার্ডে আমি দায়িত্ব নেওয়ার আগে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি হতো। এখন হচ্ছে না সেটা নয় তবে প্রকাশ্যে নয়। আমি অনেকটা সফল হয়েছি। আমাদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন চট্টগ্রামবাসী। লালদিঘীর সমাবেশ চট্টগ্রামবাসী জানান দিয়েছে যে, মানুষ মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। নগরবাসী মেয়র মহোদয়কে বলেছেন আমরা আপনার সাথে আছি, আপনি এগিয়ে যান।

বিশিষ্ট সংগঠক ও রাজণতিবিদ সোহলে বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে আমাদের উদ্যোগ রয়েছে। সিডিএর মাষ্টার প্ল্যাান ফিজিক্যালি স্টাডি না করে তারা একটা প্রজেক্ট দিয়ে দিয়েছিল। প্রজেক্টে ৫ হাজার ৬শ কোটি টাকা অনুমোদন হওয়ার পর ফিজিক্যালি স্টাডি করে কাজ ধরতে সময় লেগেছে। পাইলিং এর কাজ শেষ হয়েছে। সেখানে যিনি দায়িত্বে আছেন উনার সাথে কথা বলে জেনেছি, পাইলিং এর কাজ শেষ। আমরা এবছর পানি থেকে মুক্ত হতে না পারলেও আগামী বছর থেকে জলাবদ্ধতা মুক্ত হবে এবং মানুষ সুফল পাবে।

কাউন্সিলর এইচ এম সোহেল বলেন, আমাদের এলাকায় অবস্থিত সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেটের উপরে হাইটেক পার্ক এর কাজ শুরু হয়েছে। এলাকার ১০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। ওয়ার্ড অফিস তৈরী হচ্ছে। আপনি জানেন, ভবনের কাজ দিনরাত চলছে। মেমন হাসপাতালের একটা শাখা এখানে হবে। হালিশহরসহ আগ্রাবাদের মানুষ চিকিৎসা সেবা পাবে। সোহেল জানান, এলাকায় উন্নয়ন প্রচুর করেছি। আপনিও আমার ওয়ার্ডের স্থায়ী অধিবাসী। যারা অ

তীতে এখানে কাউন্সিলর ছিলেন তাদের থেকে আমি ৩/৪ গুণ বেশী কাজ করেছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস জনগণ আমার পক্ষেই রায় দেবে। দলের একটা সিদ্ধান্তের ব্যাপার আছে। দলীয় সিদ্ধান্ত আমি মেনে নেব। কাউন্সিলর সোহেল বলেন, আমর এলাকায় সিডিএ নগরীর প্রথম আবাসিক এলাকা। এই এলাকার অবস্থা খুব শোচনীয় ছিল। এখন সিডিএ রাস্তাঘাট ও কালভার্ট হয়েছে এবং নান্দনিক সৌন্দর্য বেড়েছে। মানুষের কোন ভোগান্তি নেই। আমার এলাকায় এমন কোন অলিগলি নেই যেখানে আমি কাজ করিনি।

কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্বপালনে আমি সব সময় উপলব্ধি করি। গরীব মানুষ অর্থাৎ দরিদ্র পরিবারের সন্তান টাকার অভাবে স্কুলে ভর্তি হতে পারে না। সে ক্ষেত্রে আমি পরীক্ষার ফি ও ভর্তির ব্যাপারে সহযোগীতা করে মানসিক তৃপ্তিলাভ করি। মানুষের জন্য কিছু করতে পারলে মনে করি মানুষ উপকৃত যদি আমার দ্বারা হয়, তবে নিশ্চয় আমি আল্লাহর কাছে পাব ও মানুষের ভালবাসা পাব। মানুষের দুর্ভোগ লাগবে আমার সহায়তা হচ্ছে আমার সবচেয়ে বড় সফলতা।

বিশিষ্ট সংগঠক ও সমাজ সেবক কাউন্সিলর এইচ এম সোহেল বলেন, রাজনীতির উদ্দেশ্য হল সমাজসেবা। মানুষকে মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন ও জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার দায়িত্ব বিগত দিনে সঠিকভাবে পালনে সচেষ্ট ছিলাম। অন্যায়ের কাছে কখনো মাথানত করিনি। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার ঘোষনা দিয়েছেন। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য নতুন প্রজন্মকে সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতি থেকে রক্ষা করতে হবে।

মাননীয় মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিন বলেছেন, নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও উন্নয়নে গত সাড়ে ৪ বছরে ২ হাজার ৫শ ৫০ কোটি টাকার কাজ হয়েছে। এর ফলে আমার ওয়ার্ডসহ প্রতিটি ওয়ার্ডে রাস্তাঘাট, কালভার্ট, ব্রীজ ও ফুটপাত নির্মাণ করা হয়েছে। নগরীতে এত উন্নয়ন কাজ হয়েছে যা বিগত ২০ বছরেও হয়নি।

বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী কাউন্সিলর সোহেল বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি বাস্তবায়নে টেকসই নগর বিনির্মাণে সিটি কর্পোরেশনসহ নগর সেবায় নিয়োজিত সংস্থা সমূহের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সরকারের ভূমিকা গুরত্বপূর্ণ। উন্নয়ণ কর্মযজ্ঞে সমন্বয় নিশ্চিত করনে সিটি গভর্নমেন্ট হোক অথবা অন্য কোন ধারনায় ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হলেই পরিকল্পিত ও বাস যোগ্য নগরী গড়ে তোলা সম্ভব। আমি মনে করি, নগরীকে বাসযোগ্য রাখতে গণপরিসর, উন্মুক্ত স্থান, জলাশয়, নদী, খাল সুরক্ষা ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য অক্ষুন্ন রেখে উন্নয়ন কর্মকান্ড নিশ্চিতে সবাইকে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে। টেকসই নগর ও জনপদ, নিরাপদ, জনবসতি গড়ে তুলতে হলে আমাদের দৃষ্টি ভঙ্গি বদলাতে হবে। নিতে হবে সঠিক সিদ্ধন্ত।

জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ অনেক প্রকল্প চট্টগ্রাম কেন্দ্রিক হওয়ায় নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বাড়ছে। মেয়র মহোদয় এই নগরীকে নান্দনিকভাবে যথেষ্ট শ্রম, মেধা ও মননে একটি পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়তে কাজ করেছেন। আমার ওয়ার্ডে উন্নয়ন যজ্ঞে মেয়র মহোদয়ের যথেষ্ট সহযোগীতা পেয়েছি। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে মেয়র মহোদয়কে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আগামীতে আমার ২৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রদপ্রার্থী হবো ইনশল্লাহ। দল মনোনয়ন দিলে নির্বাচনে যাব। দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নেব। মানুষের ভালবাসা, স্নেহ ও মমতায় আমি উন্নয়ন ও সমাজসেবায় জড়িয়ে আছি। আশা করি মানুষ আমাকে মূল্যায়ণ করবে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.