চন্দনাইশে ভ্রাম্যমাণ গ্যাসের গাড়ি আটক জরিমানা

0

চন্দনাইশ প্রতিনিধিঃ সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পৃথক -পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে একটি ভ্রাম্যমাণ গ্যাসের কন্টেইনার, একটি স্কেভেটর জব্দ করে এবং একজনকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

আজ মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় দোহাজারী সাংগু কোল্ড ষ্টোরের পাশে প্রকাশ্য দিবালোকে চট্টগ্রাম- কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে ভ্রাম্যমাণ গ্যাস বিক্রির সংবাদ পেয়ে তিনি উপস্থিত হলে গাড়িতে গ্যাস বিক্রি করতে দেখতে পান। এ সময় তাঁর এবং পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গ্যাস বিক্রির লোকজন দিক-বিদিক ছুটা-ছুটি করে পালিয়ে যান। তিনি গ্যাসের বোতল ভর্তি কন্টেইনার (চট্ট মেট্রা-ট-১১-৫৪৫৩) জব্দ করে থানায় নিয়ে আসেন। এ সময় ভ্রাম্যমাণ গ্যাস বিক্রির অফিস কক্ষে তালা লাগিয়ে দেন।

অপর দিকে বিকালে হাশিমপুর এলাকায় ধানী জমি টপসয়েল কাটার সময় একটি স্কেভেটর জব্দ করেন। মাটি কাটার অপরাধে একজনকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অন্যদিকে ছৈয়দাবাদ পদ্মাডেবা এলাকায় গ্যাসের বড় বোতল থেকে ছোট বোতলে গ্যাস স্থানান্তর করার সময় গতকাল ১৮ ফেব্রুয়ারী ভোররাতে থানা পুলিশ সরঞ্জামসহ ছৈয়দাবাদের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে ইমাম হোসেন (২২), আবু ফয়েজের ছেলে মো. নসিব (২)’কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

এ সময় গ্যাস পরিবর্তনের কিছু সরঞ্জাম পুলিশ উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছেন এস.আই বাবুল। দুপুরে ঘটনাস্থলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিবেদিতা চাকমা উপস্থিত হয়ে আটকৃতদের কাছ থেকে মুসলেকা নিয়ে গ্যাস স্থানান্তরের দোকানটি সীলগলা করে দেন বলে জানান। এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিবেদিতা চাকমা বলেছেন গত ১ সপ্তাহ্ ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সরকারের বেশ পরিমাণ জরিমানা আদায় হয়েছে।

তা ছাড়া প্রধান মন্ত্রী দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কৃষি জমি রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন। ইতি মধ্যে একটি মহল চন্দনাইশে বিভিন্ন এলাকায় ধানি জমি টপসয়েল কেটে ইট ভাটায়, বাড়ি ভিটায় নিয়ে যাচ্ছে, অনেকে আবার ধানি জমি খনন করে মৎস্যঘের তৈরি করছে। ফলে মাটি সংরক্ষণ আইন লংঘিত হচ্ছে তিনি বলেন। এ অভিযান অব্যাহত রেখে চন্দনাইশে ধানি জমি রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। তা ছাড়া ভ্রাম্যমাণ গ্যাসের গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে প্রচুর পরিমাণ গ্যাসসহ।

মালিক পক্ষ আসলে আইনগত পদক্ষেপ নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান। উল্লেখ্য যে, দীর্ঘদিন ধরে একটি মহল প্রসাশনসহ বিভিন্ন সেক্টর ম্যানেজ করে প্রকাশ্যে, বেআইনি ভাবে, চট্টগ্রাম -কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে এবং বেআইনি ভাবে গাড়িতে ভ্রাম্যমাণ গ্যাস বিক্রি করে আসছিল। প্রশাসনের লোকজনদেরকে উপর মহলের চাপে রেখে এ অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। বিষয়টি স্থানীয় জনগণ প্রশাসনকে অবহিত করলেও পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ.ন.ম বদরুদ্দোজা বদলি হওয়ার পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিবেদিতা চাকমা এর পদক্ষেপ গ্রহণ করায় স্থানীয়রা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। ভ্রাম্যমাণ গ্যাস বিক্রি স্থানের পাশে লোকালয়, একটি বিদ্যুৎতের জেনারেটর, ২টি কমিনিউটি সেন্টার, ১টি কোল্ড ষ্টোরসহ বেশি কিছু স্থাপনা ঝুঁকিতে ছিল বলে স্থানীয়দের দাবি। কোন ধরণের দূর্ঘটনা হলে বেশ কিছু প্রাণহানির আশংকা করছিলেন স্থানীয়রা।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.