ভেজাল খাদ্য বন্ধ করতে মোবাইল কোর্ট জোরদার করা হবে

0

সিটি নিউজঃ চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ বলেছেন, ভেজাল খাদ্য মানবদেহকে ধ্বংস করে। ভোক্তা হিসেবে এতে সকলেই সংযুক্ত। এটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী কর্মকান্ড। দেশের সকল পর্যায়ের মানুষের ভেজাল বিরোধী অভিযানে সম্পৃক্ত হতে হবে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে ভেজাল বিরোধী অভিযানে সহযোগিতা করার জন্য জেলা প্রশাসকসহ সরকারের সকল দপ্তরের কর্মকর্তাদের এ সময় তিনি নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, ভেজাল খাদ্য উৎপাদন ও বিপণন বন্ধ করতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা আরো জোরদার করতে হবে।

আজ মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিভাগীয় কমিশনার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে বিভাগীয় আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ কথা জানান।

সভায় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, সিএমপি কমিশনার মো.মাহাবুবুর রহমান, বিজিবি‘র জোনাল কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মামুন, কমান্ডার এম শরিফুল হক খান, লে. কর্ণেল মো মুনির হাসান, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মজিবুর রহমান পাটওয়ারী, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাধবী বড়ুয়া, চট্টগ্রাম জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবদুল মান্নান, আন্ত:জিলা বাস মালিক সমিতির লাইন সম্পাদক মো: আবুল বশর উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জানানো হয়, ভেজাল খাদ্য উৎপাদন ও বিপণন রোধে ডিসেম্বর-২০১৯ মাসে ১৭৫ টি অভিযান পরিচালনা করে ৩২১টি মামলা রুজু করে ৩৩ লক্ষ ৭৩ হাজার ৩ শত টাকা আদায় করা হয়েছে। জানুয়ারি মাসে ১৭২ টি অভিযান পরিচালনা করে ৩২৯টি মামলা রুজু করে ৩১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে। এতে ২ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা আদায় বৃদ্ধি পেয়েছে।

সভায় আরো জানানো হয়, মাদক চোরাচালান ও বিপণন রোধে চট্টগ্রাম বিভাগের সকল জেলায় ডিসেম্বর-২০১৯ মাসে ১৯৯টি অভিযান পরিচালনা করে ২৬৬টি মামলা দায়ের করে এক লক্ষ ১৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়া জানুয়ারি মাসে ১১৯টি অভিযান পরিচালনা করে ২৮৩টি মামলা দায়ের করে এক লক্ষ ৫৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ডিসেম্বর মাসের তুলনায় জানুয়ারি মাসে মামলা সংখ্যা ১৭টি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ৪৩হাজার টাকা জরিমানা বৃদ্ধি পেয়েছে।

সভায় মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রশাসন থেকে জানানো হয়, চট্টগ্রাম জেলায় আইন শৃংখলা পরিস্থিতি ভালো। আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠ হবে। স্থানীয়দের মধ্যে কোন ধরণের বে-আইনি অস্ত্র ব্যবহারের তথ্য পাওয়া যায়নি ।

সভায় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, মাদক চোরাচালান ও বিপণন রোধের মাধ্যমে সমাজকে মাদকের অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে বিভাগীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে আরো সহযোগিতা দেওয়া হবে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.