বাঁশখালীতে হেফজখানার ছাত্রীকে ধর্ষণ, ধর্ষক শিক্ষক জমির আটক 

0

বাঁশখালী প্রতিনিধিঃ বাঁশখালী পৌরসভার জঙ্গল জলদি ৫ নম্বর ওয়ার্ড ঝারকাটা শাহ অলিউল্লাহ মাদ্রাসা ও হেফজখানার ছাত্রী (১২) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে হেফজখানার শিক্ষক জমির উদ্দিনকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে।

আজ বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে পৌরসভার জঙ্গল জলদি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান বাঁশখালী থানার এসআই দীপক কুমার সিংহ।

জানা যায়, বাঁশখালী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড ঝারকাটা শাহ অলিউল্লাহ মাদ্রাসা ও হেফজখানায় সকাল ১১ টার দিকে স্থানীয় লোকজন ধর্ষণকারী জমিরকে ধরে প্রথমে পৌরসভা কার্যালয়ে নিয়ে আসে। পরে পৌর মেয়র আলহাজ্ব শেখ সেলিমুল হক চৌধুরীর নির্দেশক্রমে বাঁশখালী থানার সেকেন্ড অফিসার নাজমুল হক, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করে থানায় নিয়ে আসে বলে জানা যায়।

ধর্ষণকারী হচ্ছেন বাঁশখালী থানাধীন পৌরসভার ১ নাম্বার ওর্য়াড়ের লেদু মিয়ার পুত্র জমির হুজুর।

জানা যায় একই থানাধীন পৌরসভার ৫ নং নাম্বার ওর্য়াড়ের এহসানুল হকের কন্যাকে তার পিতা হেফজা করার জন্য ঝারকাটা শাহ অলিউল্লাহ মাদ্রাসা ও হেফজখানা ভর্তি করায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ধর্ষণকারী পৌরসভার ঝারকাটা শাহ অলিউল্লাহ মাদ্রাসা ও হেফজখানায় দীর্ঘদিন যাবৎ শিক্ষকতা করে আসছেন। মেয়েটি প্রতিদিন হেফজখানায় যাইত। মেয়েটি ধর্ষণের ব্যাপারে বাড়ীতে জানাইলে পরে জমির হুজুর কে সন্দেহ করে জিজ্ঞেস করা হয়। পরে হুজুর নিজেই এই ঘটনা স্বীকার করে। এবং বাঁশখালী পৌরসভার চৌকিদারকে ডেকে পৌরসভায় পাঠানোর ব্যবস্থা করি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম মজুমদার জানান, এই রকম একটা ঘটনার খবর পেয়ে বাঁশখালী পৌরসভা থেকে বাঁশখালী থানায় সেকেন্ড অফিসার নাজমুল হক জমির নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। জমির ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। এ ব্যাপারে মেয়ের বাবা এহসানুল হক বাদী হয়ে শিক্ষক জমির উদ্দিনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯ (১) ধারায় মামলা করেছেন। মামলা নং ২৯। মেয়েকে ধর্ষণ পরীক্ষা করানোর জন্য আগামীকাল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। মেডিকেল রিপোর্ট অনুযায়ী ভিত্তি করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.