টেকনাফে র্যাব ও বিজিবির সাথে গোলাগুলিতে নিহত-৮
শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজারঃ কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে র্যাবের সাথে রোহিঙ্গা ডাকাতদের এবং বিজিবির সাথে মাদক ব্যবসায়ীর পৃথক গোলাগুলিতে ৮ জন নিহত হয়েছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ে রোহিঙ্গা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সাথে র্যাবের দফায় দফায় ‘গোলাগুলি’তে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। র্যাবের দাবি, নিহত সবাই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসি ও ডাকাত।
একই সময় হ্নীলা ইউনিয়নের জাদীমুরা খাল এলাকায় বিজিবির সাথে গোলাগুলিতে ১জন অজ্ঞাতনামা মাদক কারবারী নিহত হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে বিজিবির ৩ সদস্য।
আজ সোমবার (২ মার্চ) রাতের প্রথম প্রহরে ‘গোলাগুলি’র এই ঘটনা ঘটে।
সুত্র মতে, মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের ২৬ ও ২৭ নম্বর ক্যাম্পের মধ্যবর্তী রোহিঙ্গা সশস্ত্র সন্ত্রাসিদের আস্তানা হিসেবে পরিচিত পাহাড়ে রোহিঙ্গা শীর্ষ সন্ত্রাসি ও ডাকাত জকির বাহিনীর সাথে র্যাব সদস্যদের ‘গোলাগুলি’র ওই ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে ৭ জনের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
এই জকির বাহিনীর ৭ জন সদস্য নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারস্থ র্যাব-১৫ এর কোম্পানী কমান্ডার লেঃ মির্জা শাহেদ মাহতাব।
নিহত ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন-টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোরা ও শালবন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মোহাম্মদ ফারুক (৩০), মোহাম্মদ আলী (২৫), নুর হোসেন ওরফে নুর আলি ও ইমরান (৩২)। বাকিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এদিকে, টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে অজ্ঞাত পরিচিত একজন মাদক কারবারী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ৩ জন বিজিবি জওয়ান আহত হন। ঘটনাস্থল হতে ১ লক্ষ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ২ মার্চ ভোররাতে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদীমুরা খাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান পিএসসি অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে মাদকের একটি বড় চালান আসার গোপন সংবাদ পেয়ে সোমবার ২ মার্চ ভোররাতে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের নয়াপাড়া বিওপির বিশেষ একটি টহল দল জাদিমোরা খাল সংলগ্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর মাদকের চালান নিয়ে নৌকাযোগে কয়েকজন ব্যক্তি কিনারায় উঠে পালিয়ে যাওয়ার সময় বিজিবি জওয়ানেরা চ্যালেঞ্জ করলে মাদক কারবারীরা বিজিবি জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এতে বিজিবির ৩জন জওয়ান আহত হন। তখন বিজিবি জওয়ানেরা সরকারী সম্পদ ও নিজের প্রাণ রক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করার কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি শান্ত হয়।
পরে ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ১ লক্ষ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা, ১টি দেশীয় অস্ত্র এবং ২ রাউন্ড তাজা কার্তুজসহ গুলিবিদ্ধ অজ্ঞাত একব্যক্তিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আহত বিজিবি জওয়ানদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুলিবিদ্ধ অজ্ঞাত মাদক কারবারীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে’।