টি-টোয়েন্টিতে হেসে খেলে জয় পেলো টাইগাররা

0

স্পোর্টস ডেস্কঃ সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজের পর টি-টোয়েন্টিতেও জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ। মিরপুরে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৪৮ রানের বিশাল জয় তুলে নিয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। বাংলাদেশের দেয়া ২০১ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৮.৫ ওভারে ১৫২ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। এই জয়ে দুই ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা। এটি টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ব্যবধানের জয়। আর নিজেদের ইতিহাসে ৪র্থ সর্বোচ্চ রানের ব্যবধানের জয়। এক প্রকার হেসে খেলে জয় তুলে নিয়েছে টাইগাররা।

প্রথম ম্যাচেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দলীয় সর্বোচ্চ রানের দিক দিয়ে নিজেদের ছাড়িয়ে গেল টাইগাররা। এর আগে গেল বছর চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৭৫ রানই ছিল দলীয় সর্বোচ্চ। আর মিরপুর শের-ই-বাংলায় টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেই রেকর্ড গড়ল টিম টাইগার্স। লিটন দাস এবং সৌম্য সরকারের অর্ধশতকে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ২০০ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। এটি টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের তৃতীয় ২শ দলীয় সংগ্রহ।

বড় রানের তাড়া করতে নেমে শুরুতেই সাজঘরে যেতে হল জিম্বাবুয়ের ওপেনারকে। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই শফিউলের বলে সৌম্যের ক্যাচ হয়ে ফেরেন টেইলর (১)। দলীয় ৩০ রানে এরভিনকে হারায় জিম্বাবুয়ে। ৯ বলে ৮ রান করে মোস্তাফিজুরের এলবির ফাঁদে পড়েন তিনি।

এরপর ষষ্ঠ ওভারে রান আউট হয়ে ফেরেন জিম্বাবুয়ের অনূর্ধ-১৯ থেকে আসা মাধেভারে। ৫ বলে তার সংগ্রহ ৪ রান। এরপর অধিনায়ক শন উইলিয়ামসকে সঙ্গী করে বিপর্যয় সামলাতে লড়াই চালিয়ে যান তিনাশি কামুনহুকামুয়ে। তবে ইনিংসের ৯ম ওভারে বল হাতে আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের ঘূর্ণিতে সব ওলটপালট হয়ে যায়। ওভারের ২য় বলে তিনাশিকে (২৮) এবং পরের বলে উইলিয়ামসকে (২০) ফেরান বিপ্লব। আর তাতেই ৬৯ রানে ৩ উইকেট থেকে ৫ উইকেটে পরিণত হয় সফরকারীরা। যদিও শেষ পর্যন্ত আর হ্যাটট্রিক হয়নি বিপ্লবের।

১২তম ওভারে আফিফ হোসেন বল হাতে এসে তুলে নেন সিকান্দার রাজার (১০) উইকেট। পরের ওভারে বল করতে এসে নিজের টিনোটেন্ডা মুতুমবোদজিকে (২) নিজের তৃতীয় শিকার বানান। আর তাতেই দলীয় ১০০ রানে ৭ম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। এরপর রিচমন্ড মুতুম্বামিকে (২০) মুস্তাফিজ নিজের ২য় শিকার বানান। এরপর ৯ম উইকেটে ২৩ আর শেষ উইকেটে মুম্বার ১৬ বলে ২৫ রানের ক্যামিওতে ১৫২ রানে অল আউট হয় জিম্বাবুয়ে।

টাইগারদের হয়ে দুর্দান্ত বল করেন মুস্তাফিজুর রহমান এবং আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। মুস্তাফিজুর ৪ ওভারে ৩২ রানের বিনিময়ে নেন ৩টি উইকেট আর আমিনুল ৩ ওভারে ৩৪ রানে নেন ৩টি। এছাড়া শফিউল, সাইফউদ্দিন এবং আফিফ হোসেন নেন একটি করে উইকেট।

এর আগে ব্যাট করতে নেমেই চার-ছকা হাঁকিয়ে শুরু করেছেন তামিম-লিটন। যাতে মাত্র ১০ ওভারেই দলীয় স্কোরকে ৯০ পার করেন তামিম-লিটন। তামিম ইকবাল তিন চার ও দুই ছক্কায় ৪১ রানে আউট হলেও ফিফটি তুলে নিয়েছেন মারকুটে লিটন দাস। তবে সিকান্দার রাজার এলবির ফাঁদে সাজঘরে ফেরেন লিটন। ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৯ রান তুলেন লিটন।

লিটন ফেরার পর উইকেটে আসেন মুশফিকুর রহিম। সৌম্য সরকারের সঙ্গে বড় জুটির আভাস দিচ্ছিলেন মি. ডিপেন্ডেবল। ব্যাট হাতে মাত্র ৮ বলেই ২ ছক্কায় খেলেন ১৭ রানের ইনিংস। তবে ইনিংসের ১৬তম ওভারে দলীয় ১৪৬ রানে ফেরেন মুশফিকুর রহিম। এরপর সৌম্য-মাহমুদউল্লাহর ৫৪ রানের জুটিতে ২০ ওভারে দলীয় স্কোর ২০০ রানে স্পর্শ করে। ৬২ রানে সৌম্য ও ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন মাহমুদউল্লাহ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.