ডা. শিউলি মুখার্জি প্রথম সিঙ্গেল পেরেন্ট

0

সিটি নিউজ ডেস্কঃ কলকাতার ডা. শিউলি মুখার্জি প্রথম সিঙ্গেল পেরেন্ট হলেন আইনগতভাবে। এজন কোর্টের সিঁড়িও ভাঙতে হয়েছে অনেক।

শিউলি বলেন, ‘বয়স বাড়ার সঙ্গে ক্রমশ একাকী’ত্বও বাড়ছিল। অল্পতেই রেগে যাচ্ছিলাম। তখনই এই সিদ্ধা’ন্ত নিলাম।’ এর পরেই বাবা-মায়ের সঙ্গে আলোচনা করে পাকাপাকি ভাবে সিঙ্গেল পেরেন্ট হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তিনি। নিজের হাসপাতালের স্পার্ম ব্যাঙ্ক থেকে শুক্রাণু নিয়ে প্রবেশ করানো হয় তার শরীরে। হায়দরাবাদ ও মালদহের দুই মহিলাও তার চিকি’ৎসাতে সিঙ্গেল মাদার হতে চলেছেন।

ডা. শিউলি মুখোপাধ্যায় কলকাতার বাসিন্দা। দেড় বছর আগে তিনি একক মাতৃ’ত্বের পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেন। তার একাকিত্ব ঘোঁ’চাতে ও অন্যদের উৎসাহিত করতে তিনি এ সিদ্ধান্ত নেন বলে গণমা’ধ্যমকে জানিয়েছেন। সেই ভাবনা থেকেই অবিবাহিত শিউলি এখন এক পুত্র সন্তানের মা।৩৯ বছরের শিউলিদেবী ছেলের নাম রেখেছেন ‘রণ’। তবে ছেলের জন্মের পরেই এক তিক্ত অ’ভিজ্ঞতা হয়েছে শিউলির। তিনি বলেন, ‘ছেলের জন্মের কাগজপত্রে বাবার নামের জায়গায় কী’ লিখবেন সেটা বুঝে উঠতে পারছিলেন না।’

পুরু’ষের স’ম্পূর্ণ সহবাস ছাড়াই স্পা’র্ম ব্যা’ঙ্ক থেকে শুক্রা’ণু নিয়ে বিয়ে ছাড়াই মা হযেছেন বা’ঙালী ডাক্তা’র শিউলি। অবশ্য এজন্য তার লড়াইও কম করতে হয় নাই।শিউলির মা হওয়ার পর থেকে আশ’ঙ্কা করা হচ্ছে বিবাহ প্রথা বেশি দিন টিকে থাকবে না। সন্তান জন্ম দানে পুরুষের ভূমিকা গৌণ তা প্রমাণ করলেন ওই নারী। এখন থেকে আর নারী নি’র্যাতন হবে না । এখন দেখার বিষয় বাঙালি নারীরা এ পন্থা অবলম্বন করে কি না?

বাঙালী ডাক্তার প্রমাণ করলেন , বাঙা’লীরাই পথ দেখাবে সচেতনতার ও বিজ্ঞানের নানা কী’র্তির। তারা আলোর দিশা। অন্ধকার অচলায়তন ভেঙে শিখা চিরন্তন।ডা. শিউলি মুখো’পাধ্যায় । নিজেকে নিয়ে গেলেন অনন্য উচ্চতায়।কলকাতায় ‘একক মাতৃত্ব’ নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে দীর্ঘদিন কাজ করছেন তিনি। বন্ধ্যাত্ব নিরসন তার যেন উপাসনা। শত নারীর মুখে মাতৃত্বের হাসি ফোটানো। । বিভিন্ন নারীকে তিনি মাতৃত্বের স্বাদ গ্রহণের সুযোগও করে দেন সেবার ভিত্তিতে ন্যূনতম খরচে। এবার নিজেই সেই পথে হাঁটলেন।

প্রায় ১১ বছর আগে স্ত্রী’-রোগ চিকিৎসক হিসাবে কাজ শুরু করার পরে তার হাতেই জন্ম হয়েছে অসংখ্য শি’শুর। তবে ‘করে ছেলের জন্মের পরে প্রথম তাকে কোলে নেওয়ার অনুভূতি একেবারে অন্যরকম বলেই জানান তিনি। শিউলিদেবী জানান, এমডি পড়ার সময় থেকেই বাড়ি থেকে তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়া শুরু হয়। কিন্তু বিয়ে বিষয়টি ছিল তার অ’পছন্দের।

তিনি জানান, শেষে আ’দালতে এফিডেভিট করে এবং সিঙ্গ’ল মাদারের ক্ষেত্রে কলকাতা পৌরসভার দেয়া একটি শি’শুর জন্মের কাগজপত্রের কপি ও সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কাগজপত্র পৌরসভায় জমা দেয়ার পরেই নিজের সন্তানের কাগজপত্র তৈরি হয়।শি’শু বয়স থেকেই রণকে সিঙ্গেল পেরেন্ট বা সিঙ্গল মাদারের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা বোঝাতে চান শিউলি। শনিবার নিজের বেসরকারি হাসপাতালে বসে তিনি বলেন, ‘ছোট থেকেই ওকে বুঝিয়ে দিলে বড় হয়ে আর মনে কোনও সংশয় থাকবে না।খবর আনন্দ’বাজার পত্রিকার।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.