ছোট করে হলেও আইপিএল আয়োজন করবে বিসিসিআই

0

স্পোর্টস ডেস্কঃ কাটছাট করে হলেও আইপিএল আয়োজক করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি।

শনিবার মুম্বাইয়ে আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট।

২৯ মার্চ শুরু হওয়ার কথা ছিল আইপিএলের ত্রয়োদশ আসর। কিন্তু করোনা আতঙ্কে শেষ পর্যন্ত আইপিএল পিছিয়ে দিতেই বাধ্য হলো ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই। ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত আপাতত অপেক্ষা। এরপর করোনা আতঙ্ক কমে গেলে শুরু হবে আইপিএল।

সৌরভের বক্তব্যে, কাটছাট করে আইপিএল তখনই সম্ভব হবে যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। কারণ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সবার আগে। অর্থাৎ, ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের সুরে সুর মিলিয়ে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মাল্টি বিলিয়ন ডলারের এই লিগ আয়োজনের দিকটি খোলা রাখলেন বিসিসিআই সভাপতি। তবে কঠিন সময়ে সর্বার আগে প্রাধান্য পাবে সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষাই। সৌরভ গাঙ্গুলি জানিয়ে দিয়েছেন, প্রতি মুহূর্তে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখবে বোর্ড।

শনিবার বৈঠক শেষে সৌরভ বলেন, ‘আইপিএল ১৫ এপ্রিল থেকেই শুরু হবে; কিন্তু সে ক্ষেত্রে যেহেতু ১৫ দিন নষ্ট হচ্ছে, তাই নতুন সূচিতে কাটছাট আবশ্যক। তবে কতগুলি ম্যাচ বাদ যাবে সেটা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়।’

সৌরভ আরও বলেন, ‘যেহেতু আমরা টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে বদ্ধপরিকর তাই প্রত্যেক সপ্তাহে আমরা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখব। আমরা মানুষের সুরক্ষা নিয়েও ভীষণ উদ্বিগ্ন।’

আইপিএলের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে শনিবার মুম্বাইয়ে বিসিসিআইর হেড কোয়ার্টারে অনুষ্ঠিত হয় বিসিসিআই-আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক। বোর্ড সভাপতি সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন বিভিন্ন ফ্রাঞ্চাইজির কর্মকর্তারা। হাজির ছিলেন শাহরুখ খান, পার্থ জিন্দাল, নেস ওয়াদিয়াসহ বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকেরা।

বৈঠকে আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল এমন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আদৌ আইপিএল আয়োজন করা সম্ভব কি না, আর সম্ভব হলেও সেটা কবে আয়োজন করা হবে। পাশাপাশি দর্শকহীন গ্যালারিতে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ আয়োজনে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সম্মতি রয়েছে কীনা, সেটাও দেখার বিষয় ছিল।

বৈঠক শেষে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের অন্যতম মালিক স্পষ্ট জানান, ‘আর্থিক ক্ষতির দিকটি একেবারেই ভাবছি না আমরা। মানুষ সবার আগে তারপর আর্থিক দিক। বৈঠকে একজোটে এটাই সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা সরকারি নির্দেশিকা মেনেই সবকিছু করব। চলতি মাসের শেষের দিক ছাড়া কিছু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।’

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.