আপনাদের দোয়া ও রায় নিয়ে নগরবাসীর সেবক হতে চাইঃ রেজাউল

0

সিটি নিউজঃ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নৌকার মেয়র প্রার্থী এম. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, মুজিববর্ষের শুরুর দিনে বঙ্গবন্ধুর প্রাণের জনপদ এই চট্টগ্রামকে একটি সমৃদ্ধ নগরীতে পরিণত করতে আমার দৃঢ় শপথ। এ শপথ শুধু আমার ব্যক্তির নয়, সমগ্র চট্টগ্রামবাসীর। কেন না চট্টগ্রামকে একটি বিশ্বমানের আধুনিক নগরীতে পরিণত করার জন্য জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে উদ্যোগগুলো গ্রহণ করেছেন তা এখন বাস্তবায়নের পথে।

দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় প্রথম নদীর তলদেশ দিয়ে সুরঙ্খপথ (টানেল) নির্মাণের ৫০ ভাগের বেশিও কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর ফলে চট্টগ্রাম চ্যানেলের নাব্যতা রক্ষা এবং কর্নফুলী নদী দূষণের বিরুদ্ধে একটি মঙ্গলজনক দিকনির্দেশনা পাওযা যাবে।

তিনি আজ মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) ৭নং পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড, ৮নং শুলকবহর ওয়ার্ড ও ১৬ নং চকবাজার ওয়ার্ড এলাকায় গণসংযোগকালে বিভিন্ন পথসভায় এ কথা গুলো বলেছেন।

তিনি আরো বলেন, আমার বড় লক্ষ্য এ নগরীকে জলাবদ্ধতা মুক্ত করার প্রয়াস অব্যাহত রাখা। নগরীর দখলকৃত খালগুলো পুনরুদ্ধার করতে সচেষ্ট উদ্যোগ নিব। চাক্তাই খালকে অতীত ঐতিহ্যে ফিরিয়ে আনবো। নগরীর ছিন্নমূল মানুষেরা যে বস্তিগুলোতে বাস করছে সেসব বস্তিগুলো খুবই ঝুকিপূর্ণ। এখানেই ঘাপটি মেরে থাকে মাদক, সন্ত্রাসীদের অস্তিত্ব। আমি এ বস্তিগুলো শুধু উচ্ছেদ নয় তাদের পূর্ণবাসনে সচেষ্ঠ হবো।

তিনি বলেন, আগামী ২৯ মার্চ আপনাদের রায় পেলে নিজেকে সেবক হিসাবে আপনাদের সেবায় নিয়োজিত রাখবো। আমি জানি আপনাদের অনেক সমস্যা আছে এবং সমস্যার সমাধানের পথও আছে। আপনাদের পরামর্শ এবং মতামত নিয়ে এই সমস্যা সমাধনে উদ্যোগ গ্রহন করবো। চট্টগ্রামের উন্নয়নে কিছু বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। তা বাস্তবায়িত হলে নগরবাসীর ভবিষ্যত আরো উজ্জল হবে।

গণসংযোগে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, চট্টগ্রামবাসী সৌভাগ্যবান। একজন পরীক্ষিত পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ রেজাউল করিম চৌধুরীকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মেয়র পদে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। আমি দৃঢ় কণ্ঠে বলতে চাই নৌকা প্রতীকে রেজাউল করিম চৌধুরী বিজয়ী হলে এ চট্টগ্রামকে আর পিছনের দিকে ফিরে তাকাতে হবে না।

গণসংযোগকালে অনান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কৃষি সম্পাদক আহমদুর রহমান সিদ্দিকী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও চিকিৎসক নেতা ডা. শেখ শফিউল আজম, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মানস রক্ষিত, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য বখতেয়ার উদ্দীন খান, চকবাজার থানার সভাপতি আলহাজ্ব সাহাব উদ্দীন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের কাজী রাশেদ আলী জাহাঙ্গীর, আতিকুর রহমান,আবদুর রহমান, মোজাহেরুল ইসলাম চৌধরী, শেখ সরওয়ার্দী, আবদুর রহিম, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক কেবিএম শাহজাহান, কাউন্সিলর প্রার্থী মোরশেদ আলম, মোবারক আলী, সাইয়্যেদ গোলাম হায়দার মিন্টু প্রমুখসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিক, স্চ্ছোসেবকলীগ, ছাত্রলীগসহ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.