কক্সবাজার বীচ নিষিদ্ধঃ সরিয়ে নেয়া হয়েছে পর্যটকদের
শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজারঃ কক্সবাজার পর্যটক আসার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কক্সবাজারে সকল প্রকার জনসমাগম ও পর্যটক আগমনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা প্রশাসন।
আজ বুধবার (১৮ই মার্চ) বিকাল ৪ টার দিকে জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন গণমাধ্যমকে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিকেল চারটার পর থেকে সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে মাইকিং এর মাধ্যমে পর্যটকদের সরে যেতে বলা হয়। এরপরেও যারা সৈকতে ভিড় জমাচ্ছে তাদেরকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার জোনের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান। বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত থেকে সমুদ্র সৈকতে কোন পর্যটকতে নামতে দেয়া হয়নি। ফলে পর্যটক শুন্য হয়ে পড়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত।
কক্সবাজারে হোটেল মোটেল গুলোতে নতুন করে পর্যটক না ঢুকতে দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন। একই সাথে যেসব পর্যটক ইতিমধ্যে হোটেলে অবস্থান করছেন তাদেরও ফেরত যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
বুধবার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা, কলাতলীর ডলফিন মোড় ছোট-বড় যানবাহনসহ বিভিন্ন স্থানে সচেতনতামূলক প্রচারপত্র বিতরণে নেনতৃত্ব দেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোঃ মাসুদুর রহমান মোল্লা।এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ আমিন আল পারভেজ, জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগন সহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, কক্সবাজার জেলায় কোথাও এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি পাওয়া যায়নি। তবে একজন চিকিৎসক সহ ৩ জন বিদেশ ফেরত ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
এদিকে, করোনা ভাইরাস নিয়ে কক্সবাজার জেলাবাসিকে বিভ্রান্ত এবং আতংকিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে বলেছেন, সর্তক থাকতে হবে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন জানিয়েছেন, কক্সবাজারে দেশি বিদেশি অনেক পর্যটক আসে। এর ফলে কক্সবাজার করোনা ভাইরাসের ঝুকিতে রয়েছো। তাই করোনা ঝুকি এড়াতে কক্সবাজারে পর্যটকদের না আসার জন্য নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। একই সাথে সমুদ্র সৈকতে জনসমাগম রোধে পর্যটকদের না নামতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সৈকতের বিচ কর্মী ও ট্যুরিস্ট পুলিশ সমুদ্র সৈকত থেকে পর্যটকদের সরিয়ে নিচ্ছে। এছাড়াও হোটলে-মোটেলসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে জনসমাবেশ, বিনোদন অনুষ্ঠান পরিবেশন সহ সবধরনের জনসমাগমের আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে।
তিনি আরো জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস নিয়ে সতর্কতার অংশ হিসেবে ১৭ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশ প্রদান করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। উক্ত নির্দেশ কোচিং সেন্টারগুলো পালন করছে কিনা, তা যাচাইয়ের জন্য বুধবার সকাল ও বিকেলে কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন এলাকার কোচিং সেন্টার পরিদর্শন করা হয়। এসময় সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ পাওয়া যায়। কোচিং সেন্টার মালিকদের সরকারি নির্দেশনা মেনে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বলা হয়। সরকারি নির্দেশ অমান্য করে কোচিং সেন্টার চালু রাখলে সিল গালা করা হবে বলে জানানো হয়।
সাধারন জনসাধারণের দায়িত্বের অংশ হিসেবে কক্সবাজার শহরে কোন কোচিং সেন্টার চালু রাখলে ০১৭১০৪৫৯১৫৮ নম্বরে জানাতে অনুরোধ করেন জেলা প্রশাসক।