বাঁশখালী মেয়রের প্রথম নয় পঞ্চমকেই পছন্দ !

0

বাঁশখালী প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভা ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে সাধারন জনগন বিপুল পরিমান ট্যাক্স ও রাজস্ব প্রদান করলেও নাগরিক সুবিধা বঞ্চিক পৌরবাসী। এরপর নানা দুর্নীতি অনিয়ম মেয়র ও কাউল্সিরর মধ্যে একে অন্যের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ অভ্যাহত থাকার পর এবার নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ।

পৌরসভা নিয়োগ কমিটি সুত্রে জানা যায়, গত বছরের ৭ অক্টোবর বাঁশখালী পৌরসভার সহকারী কর আদায়কারী, সহকারী লাইসেন্স পরিদর্শক, সড়ক বাতি পরিদর্শক, জীপ চালক, অফিস সহায়ক (এমএলএসএস) ক্যাটাগরীর পাঁচটি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
এরমধ্যে সহকারী কর আদায়কারী পদে ২৭ জন আবেদনকারীর মধ্যে ২৩ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ১৪ জন প্রার্থী। যার মধ্যে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন ১৩ জন প্রার্থী। পাঁচটি পদের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষায় প্রথম হয়েও নিয়োগ না পেয়ে এ পদে ৫ম স্থান অধিকারীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে । তা নিয়ে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগে অভিযোগ দাখিল করেছে সহকারী কর আদায়কারী পদের পরীক্ষায় প্রথম হওয়া নওয়াজীব হোছাইন তানজীব। এ পদে তার পরিবর্তে নিয়োগ দিয়েছেন পঞ্চম হওয়া এক নারীকে।

লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা মিলিয়ে ১৩ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রথম হন উত্তর জলদীর নওয়াজীশ হোছাইন তানভীর। তাকে নিয়োগ দিতে কার্যবিবরণী প্রস্তুত করে সুপারিশও করেন গঠিত নিয়োগ কমিটি। যার কপি স্থানীয় সরকার বিভাগেও পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় নিয়োগ কমিটি। কিন্তু এ সুপারিশ অমান্য করে সহকারী কর আদায়কারী পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে দক্ষিণ জলদীর সুমি ধর নামে এক নারীকে।

পরীক্ষায় প্রথম হয়েও নিয়োগ বঞ্চিত হওয়া প্রার্থী নওয়াজীশ হোসাইন তানভীর বলেন, পরীক্ষায় ১৪ জন পাস করলেও মৌখিক পরীক্ষা দিয়েছেন ১৩ জন। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা মিলিয়ে আমি প্রথম হই। কিন্তু আমাকে নিয়োগ না দিয়ে পঞ্চম হওয়া এক নারীকে নিয়োগ দেওয়া হয়। বিষয়টি গত রবিবার জানতে পারি। তিনি বলেন, পাঁচটি পদের মধ্যে নিয়োগ হলেও তিনটি পদের নিয়োগপত্র দিয়ে বাকি দুইটি পদে নিয়োগপত্র দেয়া হয়নি। আমি এ নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দিয়েছি। প্রয়োজনে আদালতের দ্বারস্থ হবো

নিয়োগ কমিটিতে জেলা প্রশাসক মনোনীত সদস্য ও বাঁশখালীর সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল বশিরুল ইসলাম বলেন, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল বিবেচনায় নিয়ে যিনি প্রথম হয়েছেন তাকেই নিয়োগ দিতে আমরা সুপারিশ করেছি। মেয়র অন্য কাউকে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি আমি জানি না।

একই কথা বললেন নিয়োগ কমিটির সদস্য কাউন্সিলর রোজিয়া সোলতানা রুজি। তিনি বলেন, পরীক্ষায় প্রথম হয়েছে নওয়াজীশ হোসাইন তানভীর। আমরা সবাই তানভীরকে নিয়োগি দিতে সুপারিশ করেছিলাম। কিন্তু মেয়র পঞ্চম হওয়া এক নারীকে নিয়োগ দিয়েছেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে মেয়রের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি নিজের মতো করে নিয়োগ দিয়েছেন।

অনিয়মের বিষয়ে জানতে নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক ও পৌরসভার মেয়র শেখ সেলিমুল হক চৌধুরীর মোবাইল ফোনে কল করা হলে তার নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

বাঁশখালী পৌরসভা নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই। কিছুদিন আগে ৮ কাউন্সিলন নানা অনিয়ম ও দুনীতির জন্য মেয়রের বিরুদ্ধে অনাস্থা দেয়। সে রেশ কাটতে না কাটকে আবারো নিয়োগে অনিয়ম এর কথা উঠায় সাধারন জনগন পৌরসভার প্রতি অ্স্তাহীন হয়ে পড়েছে ।

এদিকে পৌরসভার আস্করিয়া সড়ক ও দারোগা বাজার সড়ক সহ কয়েকটি সড়কের বার বার টেন্ডার দেওয়া হলেও ঠিকাদার সে কাজ না করে টাকা উত্তোলন করে নেওয়ার অভিযোগ ও রয়েছে । সড়কের কয়েকবার টেন্ডার হলে ও কাজ না হওয়ায় ক্ষোভ বিরাজ করছে ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.