চন্দনাইশে করোনাভাইরাসে থমকে আছে জনজীবন
চন্দনাইশ প্রতিনিধিঃ চন্দনাইশে করোনাভাইরাসের আতঙ্ক এখন চরম আকার ধারণ করেছে মানুষের মাঝে। থমকে দাড়িয়েছে গোটা উপজেলা মানুষের জীবন যাপনের চিত্র।
আজ ২৪ মার্চ থেকে উপজেলার বিভিন্ন শপিংমল, স্থানীয় চায়ের দোকানসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। সাধারণ মানুষের জীবন-যাপন স্বাভাবিক রাখতে ঔষধ ও খাবারের দোকান, কাঁচা বাজার খোলা রাখা হয়েছে। করোনা প্রতিরোধসহ বিদেশ থেকে আসা প্রবাসীদের শতভাগ হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করার লক্ষে সেনাবাহিনী মোতায়ন করা হয়েছে। সে সাথে ২টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নে পৃথক পৃথক র্যাপিড রেসপন্স টিম কাজ করে যাচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা যায়, মার্চের শুরু থেকে চন্দনাইশের বিভিন্ন এলাকায় ইতালি, ফ্রান্স, সৌদিয়া, কাতার, দুবাই, ওমান, বাহারাইন, ভারত, নেপাল, কুয়েতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ৫’শ ৩৫ জন প্রবাসী নিজ বাড়িতে আসে।
এরা দেশে আসে অনেকেই আত্মগোপন করে আছে। এদের মধ্য থেকে প্রশাসন অর্ধশতাধিক প্রবাসীকে কোয়ারেন্টাইনে প্রেরণ করেছেন। এ সুযোগেই অপ্রতিরোধ্য করোনাভাইরাস অনেক মানুষের মাঝে ছড়িয়ে যাওয়া থেকে বাঁচানোর জন্য উপজেলা, পুলিশ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
অপ্রতিরোধ্য করোনাভাইরাস থেকে মানুষকে সুরক্ষিত রাখার জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান ব্যতীত উপজেলার সকল প্রকার দোকানসহ অধিকাংশ গণপরিবহণ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে কর্মহীন থাকলেও মানুষের ভিতরে এক প্রকার করোনা থেকে মুক্তির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
র্যাপিড রেসপন্স টিম প্রবাসীদের ঘরে ঘরে গিয়ে তাদেরকে কোয়ান্টাইনে থাকার জন্য লিফলেট বিতরণ ও বাড়ির আঙ্গিনায় নোটিশ টাঙ্গিয়ে দিছে। সে সাথে উপজেলা জনগুরুত্বপূর্ণ অফিসের সামনে হ্যান্ড ওয়াশের ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে মাস্ক এবং হাত ধোয়ার সাবান বিতরণ করা হচ্ছে।
পৌর এলাকার জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, বিদেশ থেকে আসার সময় বিমান বন্দর দিয়ে পেটের ভিতরে করে স্বার্ণ বহণ করে আনছে কর্তৃপক্ষ তাদেরকে ধরে কাস্টমে দেয়। কিন্তু অপ্রতিরোধ্য মরণ ব্যাধি করোনাভাইরাস নিয়ে অভাদে প্রবাসীরা দেশে প্রবেশ করছে। যে প্রবাসীরা রেমিটেন্স যোগায়, দেশের সম্পদ। আজ সে প্রবাসীরাই দেশের বোঝা। প্রবাসীরা যদি প্রকৃত দেশকে ভালোবাসত তাহলে তারা করোনাভাইরাস নিয়ে দেশের আসতো না।
করোনাভাইরাসের প্রতিরোধে বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করার লক্ষে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। যাতে এ ভাইরাসটি একজনের সংস্পর্শে অন্যকে আক্রান্ত করতে না পারে সে জন্য র্যাপিড রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে।
টিম’টি উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নে সার্বক্ষনিক কাজ করে যাচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে না যাওয়া আহবান জানানো হয়। করোনা সচেতনার জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করে সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।