বাঁশখালী প্রশাসন বাড়ি বাড়ি গিয়ে দ্রব্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন

0

বাঁশখালী প্রতিনিধিঃ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদেশে ১০ দিনের অঘোষিত ‘লকডাউন’ জারি করেছে সরকার। এর ফলে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন হতদরিদ্র দিনমজুরেরা। কর্মহীন হয়ে পড়ায় সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে তাদের।

চট্টগ্রাম জেলা প্রসাশনের উদ্যোগে প্রাথমিক ভাবে বাঁশখালীতে ১৪ শ পরিবারের মাঝে এ সামগ্রী বিতরণ করা হবে বলে জানা যায়।

আজ শনিবার ২৮ মার্চ বিকেল থেকে সরল ইউপির জালিয়াঘাটা এলাকায় অস্বচ্ছল ও হতদ্ররিদ্র পরিবারগুলোর মাঝে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র বিতরন করেন বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেহেনা আক্তার কাজেমী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম মিয়াজী, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র সরকার, সরল ইউপি চেয়ারম্যান রশিদ আহমদ চৌধুরী, সচিব হারুনুর রশিদসহ ইউপি সদস্য রশিদ আহমদ প্রমূখ।

পরে বিকেলে কালীপুর ইউনিয়নেও একই ভাবে জনপ্রতি ১০ কেজি চাল, মশর ঢাল, সয়াবিন তেল, সাবান ও লবন সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষ পত্র পৌঁছে দেওয়া হয়। এ সময় কালীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ.ন.ম. শাহাদত আলম , ইউপি সদস্যগনসহ উপরোক্ত কর্মকর্তাদ্বয় উপস্থিত ছিলেন ।

বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বলেন, বাঁশখালীতে একজন মানুষও যাতে অভুক্ত না থাকে সে জন্যে কাজ করছে জেলা প্রশাসন। প্রাথমিকভাবে উপজেলার দরিদ্র দিনমজুর ১৪শত পরিবারকে জনপ্রতি ১০ কেজি চাল, মশর ঢাল, সয়াবিন তেল, সাবান ও লবন সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষ পত্র পৌঁছে দেওয়া পৌঁছে দেওয়া হবে।

তিনি প্রশাসনের পাশাপাশি বিত্তবানদের সাধারন জনগনের পাশে দাড়াঁনোর আহবান জানান। বাঁশখালীতে কেউ অনাহারে থাকবে না। বাঁশখালীর সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ও চট্টগ্রাম জেলা প্রসাশক আমাদের এ ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম নিয়মিত মনিটরিং করছেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনপ্রতি ১০ কেজি চাল, মশুর ঢাল, সয়াবিন তেল, সাবান ও লবনসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র বিতরণ করছি। কাউকে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাহিরে যাওয়ার দরকার নেই। যদি কারো বাসায় খাবার সংকট হয়, আমরা খবর পেলে নিজেই ত্রাণ দিয়ে আসবো বলে তিনি জানান ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.