চকরিয়ায় করোনা সচেতনতা মানছেনা জনতা, চলছে বেচাকেনা

0

বশির আলমামুন, চকরিয়াঃ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে দেশব্যাপী সরকারের দেওয়া নির্দেশনা মানছেন না চকরিয়ার জনসাধারণ।

করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ গণজমায়েত বন্ধ ঘোষণা করা হলেও করোনা আতঙ্ক নেই চকরিয়ার ১ টি পৌরসভাসহ ১৮ ইউনিয়নের হাট-বাজার আর সড়কের পাশের দোকানপাট গুলোতে। এসব এলাকায় ক্রমেই বাড়ছে লোকসমাগম আর হোম কোয়ারেন্টিন না মানা মানুষের জটলা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানা হচ্ছে না সরকারি নির্দেশনা। ছুটিতে বাড়ি ফিরে গ্রামে-গঞ্জে প্রতিনিয়ত চলছে মানুষের জমায়েত, খোশগল্প ও আড্ডা। ছোট গাড়িতে যানজন হচ্ছে সড়কগুলো।

সরজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখাগেছে, পৌর এলাকার জনতা মার্কেট, ওয়াপদা রোড়, গালর্স হাইস্কুল সড়ক, সোসাইটি কাঁচাবাজার, থানা সেন্টার, বিদ্যাপীট, তিন বটতলী, তরছঘাট, মগবাজার, মৌলভীরকুম, ভেন্ডি বাজার, মালুমঘাট, ডুলাহাজারা, খুটাখালী বাজার, পহরচাঁদা ডান্ডি বাজার, শান্তি হাট, বরইতলী একতা বাজার, হারবাং বাজার, বেতুয়া বাজার, বহদ্দার কাটা, বাংলাবাজার, স্টোর এলাকা, ডেমুশিয়া, ইলিশিয়া, দরবেশকাটা, চোয়ার ফাঁড়ি, মাইজ ঘোনা, সাহার বিল, বদরখালী সহ উপজেলার বিভিন্ন হাটে-বাজারে ও দোকান পাটে মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। অতিরিক্ত লোকসমাগম ও মানুষের জটলা বৃদ্ধি পেয়েছে। সকাল, দুপুরে একটু মানুষের উপস্থিতি কিছুটা কম হলেও বিকাল হতে না হতে এসব এলাকায় মানুষের ভীড় বেড়ে যায় বেশি। চা- দোকান গুলোতে জমে আড্ডা। সিএনজি, অটো রিক্সা ও টমটম সহ ছোট খাট গাড়িতে এসব এলাকায় যানজন তৈরী হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

এদিকে উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, স্বাস্থ্য বিভাগ, সাংবাদিক ও এনজিও সহ সেবা মুলক নানা প্রতিস্টান বিভিন্ন ধরনের সচেতনতা কার্যক্রম চালালেও সাধারণ মানুষ তা তোয়াক্কাই করছে না।

করোনাভাইরাসের মহামারির কথা চিন্তা করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাতে ও মানুষদের ঘরে ফিরাতে সেনা বাহিনীর কক্সবাজার ১০ম পদাতিক ডিভিশনের চৌকস টিম, উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ প্রতিনিয়ত মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে সেনা ও পুলিশ তাদের কার্যক্রম আরো জোরদার করেছে। তারা শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ চিরিঙ্গা শহরে মানুষকে ঘর মুখো করতে অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু এর পর ও কাজ হচ্ছেনা। সেনা বাহিনী যেতে না যেতেই আবারো মানুষের জটলা।

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, জনসচেতনতায় প্রতিনিয়তই থানা পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করাসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জীবাণুমুক্ত করতে ফায়ার সার্ভিসের জলকামান দিয়ে জীবণুনাশক ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। এর পরও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে মানুষ তেমনটা সচেতন হচ্ছে না। প্রশাসনের চাপের মুখে মানুষ কিছুটা ঘরমুখী হয়, একদিন পার না হতেই আবারও সেই একই অবস্থা। তারপরও পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, জনসচেতনতায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের পাশাপপাশি স্বাস্থ্য বিভাগ, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তি, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরও এগিয়ে আসতে হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নুরুদ্দিন মো. শিবলী নোমান বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক লিফলেট, জীবাণুনাশক ওষুধ ছিটানো এবং হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের কঠোর পর্যবেক্ষণে রাখতে তারা নিয়মিত চালানো হচ্ছে। হাট-বাজারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে কিন্তু মানুষকে কন্ট্রোল করা যাচ্ছে না।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.