পটিয়া-চন্দনাইশ-সাতকানিয়ায় ৩ বাড়ি লকডাউনে

0

চন্দনাইশ প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের পটিয়া, চন্দনাইশ ও সাতকানিয়ায় ৩ বাড়ি লকডাউন ঘোষনা করেছে প্রশাসন। গত ৩ এপ্রিল চট্টগ্রামের প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ার পর তার ৩ আত্মীয়ের বসতঘর পটিয়া কমল মুন্সিরহাট এলাকার ফকিরপাড়া প্রবাসী রমিজ আহমদ, চন্দনাইশের জামিজুরি সামশুল আলমের ৩ ভাই, সাতকানিয়া পুরানগর আয়েশা বেগমের বসতঘর লকডাউন করে দিয়েছেন প্রশাসন।

জানা যায়, দামপাড়ার ১নং গলির বাসিন্দা মৃত রুস্তম আলীর ছেলে মুজিবুল হক (৬৭), গত ৩ এপ্রিল করোনাভাইরাসের রোগী সনাক্ত হওয়ার পর রাত ১ টায় উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমতিয়াজ হোসেন, থানা অফিসার ইনচার্জ কেশব চক্রবর্তী, উপজেলা স্বাস্থ্য প.প কর্মকর্তা ডা. শাহিন হাসান চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি টিম উপজেলার জামিজুরি আবদুল আলিম ফকিরের বাড়ির সামশুল আলমের বাড়িতে উপস্থিত হন।

এ সময় তারা মুজিবুল হকের আত্মীয়ের বাড়ি নিশ্চিত হয়ে রাতেই তাদের ৩ পরিবারের ১৫ সদস্যকে লকডাউন করে বাড়ির সামনে লাল পতাকা টাঙ্গিয়ে দেন।

শনিবার সকালে পুনরায় উপজেলার জামিজুরি আবদুল আলিম ফকিরের বাড়ির মৃত মকবুল আহমদের ছেলে যথাক্রমে সামশুল আলম (৪৫), শাহ্ আলম (৩৭) , আহমদ নবী (৩৫), সামশুল আলমের স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম (৪৫), ছেলে আলা উদ্দিন (২১), মেয়ে সাইরা আকতার (১৯), রিকু আকতার (১৭), শাহ আলমের স্ত্রী কুলছুমা আকতার (২৫), মেয়ে প্রমি আকতার (১০), প্রেমা আকতার (৮) ছেলে মো. ফরহাদ (৬), ৭ মাসের ছেলে আবির, আহমদ নবীর স্ত্রী সোমা আকতার (২৭), ছেলে রিহান (৬), আড়াই বছরের ছেলে আয়ানকে লকডাউন করে ঘরে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমতিয়াজ হোসেন বলেছেন নগরীর দামপাড়ার মুজিবুল হকের ছেলে ও ছেলের স্ত্রী সৌদি আরব থেকে গত ১২ মার্চ ওমরা হজ্ব পালন করে আসে। গত সপ্তাহে মুজিবুল হক তার ছেলে, পুত্রবধুসহ তাদের আত্মীয়ের বাড়ি সাতকানিয়া পুরানগড়ে দাওয়াত খেতে আসেন। সেখানে কয়েকদিন থাকে।

ঐ বাড়িতে চন্দনাইশ জামিজুরির সামশুল আলম ও তার অপর ২ ভাইসহ পরিবারের বেশ কয়েক জন সদস্য পুরানগড় আত্মীয়ের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যান। পরবর্তীতে মুজিবুল হকের করোনা সনাক্ত হওয়ার পর উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গত ৩ এপ্রিল দিবাগত গভীর রাতে তাদের ৩ ভাইয়ের ঘর লকডাউন করে দেয়া হয়।

গত ৪ এপ্রিল সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সামশুল হক ও তার অপর ২ ভাই গত ৩ এপ্রিল জামিজুরি শাহ গালিমের জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন। এ নামাজে অনেক লোকজন জমায়েত হয় বলে মসজিদের খতিব জানান। ফলে এ এলাকার মানুষ কিছুটা আতংকে রয়েছে।

পুলিশের পক্ষ থেকে এ ৩ পরিবারের ১৫ জন সদস্যকে আগামী ১৪ দিন ধরে লকডাউন অবস্থায় রাখা হবে। তাদের খাওয়ার ব্যাপারে প্রশাসন সকল প্রকার সহযোগিতা করার পাশাপাশি এ সকল সদস্যরা পুলিশের নজরদারিতে থাকবে।

তাছাড়া তাদের এক বোন কুলছুমা আকতার পটিয়া কমল মুন্সিহাট সংলগ্ন ফকিরপাড়ায় চলে যাওয়ায় তাদের বসতঘরও লকডাউন করা হয়েছে বলে জানা যায়।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.