করোনাকালের ঈদ : ঈদের শুভেচ্ছা

0

মহসীন কাজী : ঈদ মোবারক, সকলকে ঈদ – উল- ফিতরের শুভেচ্ছা।এক ভাইরাস কাঁপাচ্ছে সারাবিশ্ব। আতংকে আছে ৭০০ কোটি মানুষ। ধনী-গরীব, উন্নত, অনুন্নত দেখছেনা। বিশ্বের সবদেশকে আক্রান্ত করছে। প্রতিদিন বাড়ছে করোনা তথা কোভিড-১৯ পজেটিভ রোগীর সংখ্যা। দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি।

বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাস রোধে কোনো ওষুধও এখন পর্যন্ত আবিস্কার হয়নি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হচ্ছে আপাতত: নিরাময়ের উপায়।

বলা হচ্ছে, শত বছরের মধ্যে স্বাস্থ্য খাতে সবচে’ বড় ধাক্কা ভাইরাস কোভিড-১৯। আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে উন্নত, অনুন্নত সব দেশ।

এই ভাইরাসের কারণে স্বাভাবিক স্বাস্থ্য সেবাও কার্যত অচল। করোনা আতংকে বন্ধ রয়েছে হাসপাতাল এবং চেম্বার কেন্দ্রিক চিকিৎসা ব্যবস্থা। এতে স্বাভাবিক এবং অন্যান্য জটিল রোগে আক্রান্তরা কোনো সেবাই পাচ্ছে না। এ কারণেও জীবনহানি ঘটছে প্রতিদিন।

গত ডিসেম্বর থেকে ধারাবাহিকভাবে করোনার কারণে অচল হচ্ছে বিশ্বের দুই শতাধিক দেশ। গত মার্চের শেষ সপ্তা থেকে টানা লকডাউন চলে আসছে বাংলাদেশেও। এক ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতার মুখোমুখি বিশ্বের মানুষ।

অচলাস্থা সর্বত্র। স্বাভাবিকতা নেই কোথাও। হঠাৎ ছন্দপতন এসেছে মানুষের জীবনে।

অনেক নতুন কিছুর সাক্ষী চলমান বিশ্বের মানুষ। ভাইরাসের গতির সাথে হঠাৎ পরিবর্তন এসেছে মানুষের জীবনেও। স্বাস্থ্যবিধি ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে মানুষের জীবনাচরণে।

শুধু কী তাই। ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানও এসে গেছে স্বাস্থ্যবিধির আওতায়। এই রমজানে বন্ধ ছিল পবিত্র ওমরা হজ। পাঁচ ওয়াক্তের নামাজসহ জুমা পর্যন্ত বন্ধ পবিত্র মক্কা, মদিনায়। এমনকি ঈদের নামাজও হয়নি। সবকিছুই করা হয়েছে জীবনের জন্য, জীবন বাঁচানোর জন্য।

আজ পবিত্র ঈদে আমাদের বাংলাদেশেও ঈদের নামাজের আয়োজন সীমিত করা হয়েছে। ঈদগাহের পরিবর্তে নামাজ হবে মসজিদে। নামাজের সময়ও মানতে হবে সামাজিক দুরত্ব। এবার হবে না কোনো কোলাকুলি। বাসা, বাড়ি ঘুরে সালাম করা, সালাম নেয়া, সালামি আদান প্রদান কিছুই হবে না।

নিজে ভাল থাকুন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ উৎসব পালন করুন। সবচে’ বড়কথা ঘরে থাকুন।

ফোন কলে, ইমো, ওয়াটসঅ্যাপ, ম্যাসেঞ্জারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সালাম বিনিময় করুন। শুভেচ্ছা জানান।

লেখক : বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) যুগ্ম-মহাসচিব।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.