আহত পুলিশের পাশে ২০১১ ব্যাচের পুলিশ সদস্যরা

সহকর্মীদের দুই লক্ষ টাকা সহায়তা পেল কুমিল্লা জেলা পুলিশ রাশেদ

0

সিটি নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রাম রেঞ্জ কুমিল্লা জেলা পুলিশের এএসআই মো. রাশেদুল ইসলাম কক্সবাজার সড়ক দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।সম্প্রতি আহত এএসআই মো. রাশেদুল ইসলামকে দুই লক্ষ টাকার চেক দিয়ে সহায়তা করেন বাংলাদেশ পুলিশের ডিসেম্বর-২০১১ ব্যাচের পুলিশ সদস্যরা।

শনিবার (১৩ জুন ) সকালে চট্টগ্রাম রেঞ্জের কুমিল্লায় জেলায় কর্মরত এএসআই মো. রাশেদুল ইসলামকে উক্ত ব্যাচের সদস্যরা এই চেক তুলে দেন। উক্ত ব্যাচের মো. ইসমাইল গনি জুয়েলের সম্বনয়ে উজ্জ্বল, ইসমাইল জবী উল্লাহ, জাহিদ, কামাল, নাফিজ, জাহিদুল ইসলাম, আমিনুল, শাহীন, মতিউর, আমজাদ, রাজু, রুবেল, মলিনা আক্তার, শরীফ, সাইফুল, সুজনের সার্বিক সহযোগিতায় চট্টগ্রাম রেঞ্জের আওতাধীন জেলা সমূহ ও সিএমপি থেকে এই দুই লক্ষ টাকা সহায়তা করেন।

ব্যাচের সম্বনয়ক মো. ইসমাইল গনি জুয়েল জানান,দুঃসময়ে পাশে থাকা সহকর্মীর বিপদে চিন্তা-ভাবনা ছাড়াই সাড়া দেওয়াই হচ্ছে প্রকৃত বন্ধুত্বের পরিচয়। প্রয়োজনে সময়ে অসময়ে বন্ধুর বিপদে তাকে সাহায্য করা।এভাবে বাংলাদেশ পুলিশের প্রত্যেক সহকর্মী যদি বিপদে সহকর্মীদের পাশে দাঁড়ায় তাহলে আমাদের মাঝে সুসম্পর্ক গড়ে উঠবে সকলের সাথে।

তিনি আরো জানান,এএসআই মো. রাশেদুল গত ১৬ মার্চ কুমিল্লা জেলা থেকে কক্সবাজার জেলায় কিছু দিনের জন্য প্রেষণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়োগ করেন। গত ২০ এপ্রিল সকালে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ি থেকে তিনজন এপিবিএন কনস্টেবলসহ রাশেদুল সিএনজি যোগে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের যাওয়ার প্রাক্কালে উনচিপ্রাং বাজারে দূর্ঘটনায় পতিত হয়। এসময় তাদের বহনকারী সিএনজির সাথে আরেকটি সিএনজির সংঘর্ষে রাশেদুল সিটকে পাহাড়ের পাদদেশে পরে য়ায়। একই সাথে তাকে বহনকারী সিএনজি তার উপরে গিয়ে পড়ে কোমড় থেকে পায়ের সংযোগ স্থলের দুই পায়ের হাড় ভেঙ্গে যায়। এখন তিনি চট্টগ্রামের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। চিকিৎসক বলেছেন, পরিপূর্ণ সুস্থ হতে আরো ৩-৪ মাস সময় লাগবে। এতে তার একার পক্ষে চিকিৎসার ব্যায়ভার বহন করা সম্ভব না হলে উক্ত ব্যাচের পুলিশ সদস্যেরা এই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.