দোয়া কামনা শিশু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা.তাহমিনার সুস্থতার জন্য

1

গোলাম সরওয়ার,সিটি নিউজ : তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা,ব্র্যাক বাংলাদেশ চেয়ারম্যান ড.হোসেন জিল্লুর রহমানের ছোট বোন প্রফেসর ডা.তাহমিনা বানু আপাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক)হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান, আন্তর্জাতিক শিশু সার্জারি ও চিটাগাং রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর চিল্ড্রেন সার্জারী(ক্রিকস)এর পরিচালক প্রফেসর ডা.তাহমিনা বানু দীর্ঘদিন অসুস্থ মা জোহরা বেগমের সেবায় নিয়োজিত থাকার কারণে ও পরে মায়ের মৃত্যুর শোকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রবিবার (২১ জুন) বিকেল ৪.৩০ মিনিটে এম্বুলেন্সে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি ঢাকা স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসক জানান, বর্তমানে তিনি মোটামুটি সুস্থ রয়েছেন।

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড.হোসেন জিল্লুর রহমান উপরে উল্লেখিত তথ্যগুলো সঠিক বলে সিটি নিউজকে নিশ্চিত করেন।

উল্লেখ্য, বিশিষ্ট প্যাথলজিস্ট ডা. আবদুল মতিনের মেয়ে ডা. তাহমিনা বানু চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার বরকল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নগরের পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকায় নিজস্ব বাড়িতে গবেষণা ও শিশুসেবা দিয়ে ব্যাস্ত সময় পাড় করেন।

ডা.তাহমিনা বানু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে দেশে অসংখ্য শিশুর ক্রিটিক্যাল অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। শিশু সার্জারিসহ চিকিৎসা নিয়ে নানা গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। শিশু সার্জারি জগতে আন্তর্জাতিক আঙিনায় ইতিমধ্যে তৈরি করেছেন নিজের সর্বোচ্চ অবস্থান। দেশি ৬৯টি এবং আন্তর্জাতিক ৪১টি চিকিৎসা সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর গবেষণা প্রবন্ধ। অর্জন করেছেন আন্তর্জাতিক অনেক পুরস্কার। নিয়মিতই তাঁর সঙ্গে গবেষণা কাজে থাকেন মেডিকেল কলেজের ৩০ থেকে ৪০ জন শিক্ষার্থী।
শিশু সার্জারিই তাঁর গবেষণার মূল প্রতিপাদ্য।
এ জন্য প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘চিটাগাং রিচার্স ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড সার্জারি’CRICS  (ক্রিকস) নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এ ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে চলছে শিশু রোগ নিয়ে ‘পূর্ণাঙ্গ’ গবেষণা। চলছে শিক্ষার্থী, পথশিশু, শিশুশ্রম, বস্তির শিশু নিয়ে গবেষণা।

সবাই ডা.তাহমিনা বানু আপার জন্য দোয়া করবেন যেন তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসেন।

এ বিভাগের আরও খবর
1 Comment
  1. rozina akter says

    ভাই প্রতিবেদক, 

    তাহমিমা বানু সম্পর্কে আপনি কতটুকুই বা যানেন?! যার সন্তান উনার ওয়ার্ডে একবার ভর্তি হয় সেই চিনে তাহমিনা বানুর আসল রুপ। আপনার সন্তান যদি কখনো উনার ওয়ার্ডে ভর্তি হয়, তখন চিনবেন উনাকে। আপনি হয়তো সাংবাদিক হিসেবে আপনাকে ভয় পেতে পারে!  কিন্তু সাধারণ মানুষের কি কষ্ট তা আপনাদের বুঝানো যাবেনা। যার একমাত্র সন্তান মারা যায়, সে ই বুঝে সন্তানের লাশ কাঁধে নেওয়া কি যে কষ্ট!  উনার কাছে সন্তানের কোন মূল্যই নেই। কারণ যে মহিলা জীবনে বিয়ে ই করেনি, উনি কি বুঝবেন সন্তানের মর্ম?! আমার একমাত্র ছেলে নিপ্রোব্লাস্টোমা নিয়ে ভর্তি হয় ২০১৬ সালে। সব টেষ্ট করিয়ে (প্রায় ৩০ হাজার টাকা) ভর্তি করানো হয় উনার ওয়ার্ডে। তাহমিনা বানু বলেন অপারেশন করে একটি কিডনি ফেলে দিলেই ভাল হয়ে যাবে। বাইরে যত ডাক্তার দেখিয়েছি সবাই একই কথা ই বলেছিলেন। কিন্তু অপারেশনের দিনটি ছিল ঈদের ছুটির আগের দিন। তাই তাহমিনা বানু অপারেশন না করিয়ে অপারেশন করালেন উনার জুনিয়র (ডাক্তার  খুরশিদ) কে দিয়ে। সেই জুনিয়র ডাক্তার অপারেশন ভুল করে চুপচাপ থাকে। তাহমিনা বানু উনার মানসম্মানের কথা চিন্তা করে বিষয়টি গোপন রাখেন! তখনো যদি আমাকে বলতেন, আমার ছেলেকে বাঁচানো যেত। কিন্তু আমার ছেলেকে ওয়ার্ডে ফেলে রাখেন দিনের পর দিন। অবশেষে ঈদের ছুটির পরে আবার অপারেশনের কথা বলে অপারেশন রুমে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলে! আমার ছেলের মতই অনেক ঘটনা চট্টগ্রাম মেডিক্যালের ১১ নং ওয়ার্ডের চার দেয়ালে ধামাচাপা দেওয়া আছে! হয়তো কোনদিন কেঊ ই জানতে চায়নি, জানতে পারবেও না। কারণ আমরা সাধারণ মানুষ! তবে যদি উপরে আল্লাহ থেকে থাকে, তাহলে আমার অভিশাপ অবশ্যই তাহমিনা বানুর গায়ে লাগবে। আমার মন্তব্য টি হয়তো অনেকেরই খারাপ লাগতে পারে, কিন্তু এটা একটা হাজার সত্যের মাঝে বাস্তব সত্য।       

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.