ডা: ফয়সালের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নেতা রনি’র জিডি
সিটি নিউজঃ খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ ফয়সল ইকবাল চৌধুরীর বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি।
মঙ্গলবার (২৩ জুন) রাতে পাঁচলাইশ থানায় অভিযোগটি দায়ের করা হয়। জিডির নম্বর- ৯১০/২০।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, নুরুল আজিম রনি একটি অভিযোগ দিয়েছেন। সেটি জিডি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।
এবিষয়ে নুরুল আজিম রনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা দায়েরের আবেদন নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা দায়েরের আগে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। তারা জিডি হিসেবে অভিযোগ গ্রহণ করেছে।
এরআগে করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসায় চট্টগ্রামে গড়ে তোলা একটি আইসোলেশন সেন্টারের পরিচালক মো. সাজ্জাত হোসেনের সঙ্গে মোবাইলে কথোপকথনের সময় রনি’র লাশ ফেলার হুমকি দিয়েছেন মর্মে সোমবার চট্টগ্রামের কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে সংবাদ পরিবেশিত হয়। মঙ্গলবার কয়েকটি গণমাধ্যমেও এই খবর আসে।
“এক মিনিট ৮ সেকেন্ডের ওই অডিও ক্লিপের শুরুতে ‘করোনা আইসোলেশন সেন্টার চট্টগ্রামের উদ্যোক্তাদের হেয়প্রতিপন্ন করে ডা. ফয়সাল বলেন, ‘নাই ডাক্তার, নাই, কিছু নাই। ভংচং করার দরকারটা কী?’ এ সময় করোনা উদ্যোক্তাদের ‘চোর-ডাকাত’ উল্লেখ করে গালাগালি করতেও শোনা যায় এ আওয়ামী লীগ নেতাকে। তিনি বলেন, ‘রোগীর যেটার অভাব, আইসিইউ, ন্যাজাল ক্যানোলা, ওখানে কী আছে? সেখানে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন আছে? নাকি আর কী আছে?’
কথোপকথনের একপর্যায়ে হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে ডা. ফয়সাল ইকবালকে বলতে শোনা যায়, ‘চোর-ডাকাতের সঙ্গে থেকে লাভ নেই। রইন্যার (নুরুল আজিম রনি) মতো চোর-ডাকাতের সঙ্গে কী? দেশ একটু সুস্থ হোক। ওর লাশ দেখা যাবে। ওর লাশ যদি না ফেলি আমার নাম ফয়সাল ইকবাল না।”
তবে সাজ্জাতের সঙ্গে মুঠোফোনে আলাপচারিতা ও হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী। তিনি সোমবার গণমাধ্যমকে বলেন, ওই কণ্ঠস্বর আমার নয়। এটা আমার বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র। আমাকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতেই এ অপপ্রচার। আমার গলার স্বর নকল করে এটি সাজানো হয়েছে।
মো. সাজ্জাত হোসেন বলেন, চট্টগ্রামে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর নৈরাজ্য নিয়ে মানববন্ধন থেকে ডা. ফয়সাল ইকবালসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়েছিল। ঘটনাক্রমে আমিও সেই মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলাম। এ নিয়ে কয়েক দিন ধরে মুঠোফোনে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করছিলেন ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী। সোমবার সকালে ‘করোনা আইসোলেশন সেন্টার’ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি উত্তেজিত হয়ে রনিকে এ হুমকি দেন।
এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম কলেজ ও সরকারি হাজী মুহম্মদ মহসীন কলেজ ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ করে। সমাবেশ থেকে ফয়সাল ইকবালকে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।