করোনাভাইরাসে দেশে শনাক্ত দেড় লাখ এবং মৃতের সংখ্যা ১৯শ’ ছাড়ালো

0

সিটি নিউজ ডেস্ক :  দেশে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ৩৮ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো এক হাজার ৯২৬ জনে। এসময় একদিনে সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হয়েছে ৪০১৯ জন। এটিই এ পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছেন এক লাখ ৫৩ হাজার ২৭৭ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৪ হাজার ৩৩২ জন। এতে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৬৬ হাজার ৪৪০ জনে।

বৃহস্পতিবার করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।নতুন একটিসহ মোট ৭০টি ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরেন তিনি।

গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৮৯ শতাংশ, এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ১০ শতাংশ। তবে শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ২৬ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের বিশ্লেষণ তুলে ধরে নাসিমা সুলতানা বলেন, মৃত ৩৮ জনের মধ্যে ৩২ পুরুষ এবং ৬ জন নারী। তাদের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছরের একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের দুজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের দুজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে আটজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের সাতজন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সসীমার দুজন রয়েছেন।

মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগেরই বাসিন্দা রয়েছেন ১১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১২ জন, খুলনা ও রাজশাহীতে ৫ জন করে, বরিশাল ও সিলেটে দুজন এবং রংপুর বিভাগে একজন মৃত্যুবরণ করেছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন ৩৩ জন এবং বাড়িতে থেকে মারা গেছেন ৫ জন।

বরাবরের মতোই বুলেটিনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়।

দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

প্রসঙ্গত, চীনের উহান থেকে বিস্তার শুরু করে গত চার মাসে বিশ্বের ২১৫টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। চীনে করোনার প্রভাব কমলেও বিশ্বের অন্য কয়েকটি দেশে মহামারি রূপ নিয়েছে।

করোনাভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.