যে কারণে আড়ালে অভিনেতা হাসান মাসুদ !

0

সিটি নিউজ ডেস্ক :  টিভি ও চলচ্চিত্রের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা হাসান মাসুদ। অভিনেতার বাইরেও তিনি একজন গায়ক। পেশায় ছিলেন সামরিক কর্মকর্তা। এরপর নিজেকে যুক্ত রেখেছিলেন সাংবাদিকতায়। সবকিছু ছাপিয়ে অভিনয়ের দক্ষতায় পর্দায় জয় করে নিয়েছেন অগণিত দর্শকের হৃদয়। পর্দায় তিনি জাহির মানেই যেন দ্ররশক মনে এক নতুন উন্মাদনা।

দীর্ঘদিন ধরেই অভিনয়ে নেই তিনি। প্রায় চার বছর ধরে পর্দায় দেখা যাচ্ছে না এই অভিনেতাকে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অভিনয় না করলেও রাজধানীর নিকেতনের বাসাতে পরিবারের সঙ্গে বেশ ভালোই আছেন তিনি। পরিবারে রয়েছে তার স্ত্রী ও এক ছেলে। উচ্চ শিক্ষা নেওয়ার জন্য ছেলে মাস কয়েক আগে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। ছেলের জন্য মাঝেমাঝেই মন খারাপ হয়ে যায় তার। তবুও মনকে বুঝিয়ে নিজেকে ডুবিয়ে রেখেছেন বই পড়া ও লেখালেখিতে। এভাবেই সময় কেটে যায় তার। জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকার সময়টাতেই হুট করে অভিনয় থেকে সরে যান তিনি।

হাসান মাসুদ জানান, অনেকটা সময় ধরেই তো কাজ করেছি। অভিনয় যে আর করবো না, তা কিন্তু না। বলতে গেলে অনেকটা অভিমান করেই সরে এসেছি। সে অনেক কথা! সবকিছু বলতে চাই না। যখন দেখলাম আগের মত কাজ করে আরাম পাচ্ছি না তখন নিজ থেকেই সরে আসি। আর কাজ না করার পেছনে অভিমানের পাল্লাটা বেশ ভারী।

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা অভিনয় করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম খুব। ফলে কাজগুলো খুব একটা উপভোগ করছিলাম না; ফলে আস্তে আস্তে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি। তবে ভালো চিত্রনাট্য পেলে আবারও অভিনয়ে নিয়মিত হতে চাই।

করোনা পরিস্থিতির আগে নতুন করে কাজে ফেরার কথা ছিল হাসান মাসুদের। কলকাতার একটি সিনেমাতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন। মার্চের মাঝামাঝি সময়ে সিনেমাটির শুটিং শুরু হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু মহামারী যেন সবকিছু থমকে দিলো।

এক সময়ের তুমুল ব্যস্ত এ অভিনয়শিল্পীকে ২০১৬ সালের পর থেকে আর কোনো নাটক-চলচ্চিত্রে দেখা যায়নি। মাঝে বেশকিছু নাটক-চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পেলেও সাড়া দেননি।

প্রসঙ্গত, ‘ব্যাচেলর’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে বড়পর্দায় অভিষেক হয় হাসান মাসুদের। ‘ব্যাচেলর’ ছাড়াও অভিনয় করেন মোস্তফা সরফার ফারুকীর ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ চলচ্চিত্রে। পাশাপাশি অসংখ্য দর্শকপ্রিয় নাটকে অভিনয় করেন তিনি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.