চন্দনাইশে জেলা প্রশাসকের নির্দেশ উপেক্ষা-রেল লাইনের উপর গরুর বাজার

0

চন্দনাইশ প্রতিনিধিঃ উপজেলার ধোপাছড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশ অমান্য করে অবৈধভাবে বসতে শুরু করেছে গরুর বাজার। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনভাবে বন্ধ করতে পারছে না এ সকল অবৈধ গরুর বাজার।

গত ২৭ জুলাই অনুমোদন ব্যাতিরেকে ধোপাছড়ি চেমিরমুখ এলাকায় দ্বিতীয় দফায় গরুর বাজার বসিয়েছেন স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। একই স্থানে গত ২৪ জুলাই গরুর বাজার বসার পর স্থানীয়রা প্রশাসনকে অবহিত করেছিলেন। গত ২৭ জুলাই সকাল থেকে গরুর বাজার বসার ব্যাপারে প্রশাসনকে একাধিকবার অবহিত করার পরও অবৈধ গরুর বাজার বন্ধ করতে পারেনি প্রশাসন।

একইভাবে আজ ২৮ জুলাই দোহাজারী রেললাইনের উপর নিয়ম অমান্য করে বসেছে গরুর বাজার। এ সকল গরুর বাজারে সরকারী দেওয়া নীতিমালা কোনভাবে মানা হচ্ছে না। নীতিমালা অনুসারে শিক্ষা প্রতিষ্টানের মাট, রেললাইন, খেলার মাট, সড়ক মহাসড়কের পাশে গরুর বাজার বসানো যাবে না।

তাছাড়া পশুর হাটে ক্রেতা বিক্রেতারা একমুখী চলাচল করতে হবে। হাটের প্রবেশমুখে তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র, হাত ধোয়ার বেসিন, পানি, জীবানুনাশক সাবান থাকতে হবে। সামাজিক দুরুত্ব বজায় নিশ্চিত করতে হবে। অথচ চন্দনাইশের গরুর বাজারের এসব নীতিমালা তোয়াক্কা করছে না ইজারাদার বা গরু ক্রেতা বিক্রেতারা।

এ ব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ কেশব চক্রবর্তী বলেছেন, চন্দনাইশে কয়টি গরুর বাজার আছে এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত তালিকা দেয়া হয়নি। ধোপাছড়ি চেমিরমুখ এলাকায় অবৈধভাবে গরুর বাজার বসার সংবাদ পেয়ে তিনি পুলিশ পাঠিয়েছিলেন কিন্তু নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট না থাকায় ব্যবস্থা নিতে পারেননি বলে জানিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমতিয়াজ হোসেনকে সকাল থেকে একাধিকবার মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে, বিকালে তিনি ফোন করার পর জানালেন, এত দূরে পাহাড়ি এলাকায় যাওয়া সম্ভব নয়। তাই কিছু করা যাচ্ছে না।

আজ ২৮ জুলাই থেকে চন্দনাইশে গরুর বাজারে ক্রেতা বিক্রেতাদের আনাগোনায় সরগরম হয়ে উঠেছে। বেচাকেনা ও কম বেশি হয়েছে। বড় গরুর তুলনায় ছোট মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি। দাম ও সহনশীল পর্যায়ে রয়েছে। করোনার কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় বহিরগত বেপারী অনেক কম।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.