টেকনাফে মেজর সিনহা হত্যাঃ থানার ওসি প্রদীপ দাসকে প্রত্যাহার

0

কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ দাসকে ক্লোজ্ড করা হয়েছে। সেনা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান পুলিশের গুলিতে নিহতের ঘটনায় তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার আগে বাহাড়ছড়া পুলিশ ফাড়ির সব পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার করা হয়।

আজ বুধবার (৫ আগস্ট) দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, কক্সবাজারের এসপির ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবার মতো কিছু পায়নি মন্ত্রণালয়। বিষয়টি তদন্তাধীন, তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে। মেজর সিনহার বোনের মামলা দায়েরের পরপরই পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ যদিও বর্তমানে সেনা প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ ও পুলিশ প্রধান বেনজির আহমদ কক্সবাজার পরিদর্শনেে আছেন।

এরআগে বুধবার (৫ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে টেকনাফের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মেজর (অব) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।

আদালত মামলাটি গ্রহণ করে সাত কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়নকে (র‌্যাব) নির্দেশ দেন।

মামলায় বাহারছরা তদন্ত কেন্দ্রের প্রত্যাহারকৃত পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে। তারা ছাড়াও আরো ৭ জনকে এজহারভূক্ত আসামি করা হয়েছে।

মামলার অন্য আসামিরা হলোঃ মামলার আসামিরা হলেন- এস আই নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এ এস আই লিটন মিয়া, এ এস আই টুটুল ও কনস্টেবল মোহাম্মদ মোস্তফা।

ঘটনার দুদিন পর টেকনাফের বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ লিয়াকত আলিসহ ২০ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ আগস্ট রাত্রে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডে মেজর সিনহা তাঁর কক্সবাজারমুখী প্রাইভেট কারটি নিয়ে টেকনাফের বাহারছরা শামলাপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের চেকপোস্টে পৌঁছালে গাড়িটি পুলিশ থামিয়ে দেয়।

তখন তিনি উপর দিকে তার হাত তুলে তার প্রাইভেট কার থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে বাহারছরা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর ইনচার্জ লিয়াকত আলী পরপর ৩ রাউন্ড গুলি করে হত্যা করে বলে সেনা সদর থেকে গণমাধ্যমে প্রেরিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়।

ঘটনা তদন্তে গত ২ আগস্ট চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. মিজানুর রহমানকে আহবায়ক করে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্ত্বা বিভাগ। মঙ্গলবার ৪ আগষ্ট থেকে তদন্ত শুরু হয়েছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.