নারায়নগঞ্জ মসজিদে বিস্ফোরণে মৃত ১৬, গুরুতর আহত ২১ মুসল্লি

0

সিটি নিউজ ডেস্কঃ নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর তল্লা এলাকায় একটি মসজিদে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৬ মুসল্লির মৃত্যু ও অন্তত ২১ মুসল্লি গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে। গঠন করা হয়েছে ৩ তদন্ত কমিটি। প্রধানমন্ত্রীও ফোন করে আহদের খোঁজ খবর নিয়েছেন এবং সর্বাত্মক চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ডা. সামন্ত লাল সেন।

শুক্রবার রাতে এশার নামাজ চলাকালে শহরের তল্লা বাইতুস সালাম মসজিদে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় আহতদের শহরের ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল ও ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আরেফিন জানান, মসজিদের বিস্ফোরণে অনেকের মৃত্যু ও অনেকে গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে।

সমজিদে বিস্ফোরণের পর হতবিহ্বল মুসল্লি ও এলাকাবাসী
সমজিদে বিস্ফোরণের পর হতবিহ্বল মুসল্লি ও এলাকাবাসী

স্থানীয় সূত্র জানায়, মসজিদে এশার নামাজের পর মোনাজাত চলাকালে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় মসজিদে প্রায় ৪০-৫০ মুসল্লি ছিলেন। বিস্ফোরণের পর হুড়োহুড়ি করে বের হওয়ার সময় অনেককেই বস্ত্রহীন এবং শরীর ঝলছে যাওয়া অবস্থায় দেখা গেছে। অনেকে রাস্তায় জমে থাকা পানিতে ঝাপ দেয়।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন জানান, এশার নামাজের শেষ সময় এয়ারকন্ডিশনের গ্যাসের লিকেজ হয়ে এ বিস্ফোরণ ঘটে।

তিনি জানান, মসজিদের ফ্লোরের নিচ দিয়ে এয়ারকন্ডিশনের পাইপের সংযোগ ছিল। পাইপ লিক করে বুদবুদ আকারে গ্যাস বের হচ্ছিল। দরজা জানালা বন্ধ থাকায় কেউ হয়তো ইলেকট্রিক লাইনের কোনো সুইচ চালু করতে গিয়ে বিদ্যুৎ স্পার্ক হয়ে বিস্ফোরণটি ঘটে। এ ঘটনায় অর্ধশতাধিক আহত হয় বলে জানান তিনি।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের গাড়িতে ছয়জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এছাড়া স্থানীয়রা বিভিন্ন যানবাহনে আহতদের ঢাকা মেডিকেলে পাঠায় বলে তিনি জানান তিনি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.