চসিকঃ খাতায় আছে বাস্তবে নেই

0

জুবায়ের সিদ্দিকীঃ চসিকের ডোর টু ডোর ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহের কাজ ছিল দীর্ঘদিন ঢিলেঢালা। কোন কোন ওয়ার্ডে দেখা গেছে আবর্জনা পরিস্কারে কাজ করছেন ২৫ জন পরিচ্ছন্নতা সেবক। অথচ হাজিরা খাতায় দেখানো হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ জনের।

চসিকে পরিচ্ছন্ন শ্রমিক কাজ করছেন ২ হাজার ১২ জন। প্রতি মাসে তাদের বেতন আসে প্রায় আড়াই কোটি টাকা। এর বেশীরভাগ ভূতুড়ে শ্রমিক। বিএ পাস, আইএ পাস লোকজনের নামও এই তালিকায় আছে। এরা কোন কাজ করেনা। মাস শেষে তাদের নামে বেতন তুলে ভাগ ভাটোয়ারা করা হয়।

এভাবে শুধু এ খাতেই মাসে দেড় কোটি টাকা মানুষরূপী ভূতের পেটে যাচ্ছিল। এই শুভংকরের ফাঁকিটি ধরা পড়ে নবনিযুক্ত প্রশাসকের হাতে।

প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন “টাকা আত্মসাতের প্রদীপ নিভিয়ে দিলেন”। গঠন করেছেন তদন্ত কমিটি। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর কঠোর ব্যবস্থা নেবেন প্রশাসক এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন নগরের নাগরিক।

শ্রমিক শুক্কুর মিয়া বললেন, এতদিন কাজীর গরু খাতায় আছে- গোয়ালে ছিল না।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.