যেখানে কম পয়সায় ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে,সেখান থেকে আনা হবে

0

সিটি নিউজ ডেস্ক :  মহামারি করোনার ভ্যাকসিন পেতে সব দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, যেখান থেকে কম পয়সায় ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে সেখান থেকে আমরা ভ্যাকসিন নেব এবং মানুষকে করোনামুক্ত করব। ভ্যাকসিনের জন্য টাকাও বরাদ্দ করে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

করোনাকালে চিকিৎসা ব্যবস্থার দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষাপটে সরকার প্রধান বলেন, ‘চিকিৎসা সেবা যাতে দিতে পারি তার জন্য হাসপাতাল প্রস্তুত, চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয়সহ সব ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। আর এজন্য পানির মত টাকা খরচ হয়েছে। আমরা টাকা পয়সার দিকে তাকাইনি। এখানে হয়তো কেউ খুঁজে খুঁজে দুর্নীতি দেখতে পারে। যে মুহূর্তে এ ধরনের একটি দুর্যোগ মোকাবিলার চিন্তা করতে হয়েছিল তখন টাকা পয়সা কী হবে? কত খরচ হলো। কতটুকু সিস্টেম লস তা বিবেচ্য ছিলো না। আমাদের বিবেচ্য ছিলো মানুষকে বাঁচানো। কীভাবে মানুষকে রক্ষা করবো। আর সেটা করেছি বলেই অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। যেখানে এখনো বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ হিমশিম খাচ্ছে। আমাদের দেশের মত ঘনবসতির দেশে এই কাজগুলো করা অত্যন্ত কঠিন। উন্নত বিশ্বে এই সমস্যাটা ছিলো না।’

বৃহস্পতিবার একাদশ সংসদের নবম অধিবেশনে সমাপনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সরকারপ্রধান। প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, সময়মতো ব্যবস্থা নেয়ায় করোনায় মৃত্যুর হার নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক দেশ ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা করছে। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। আমরা যেখান থেকে কম পয়সায় ভ্যাকসিন পাওয়া যায় আমরা নেব। মানুষকে করোনামুক্ত করব।’

বিশ্বের যেখানেই করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার হবে বাংলাদেশ তা সংগ্রহে উদ্যোগ নেবে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এজন্য সরকার অর্থও বরাদ্দ রেখেছে। যেখান থেকে আগে পাওয়া যায় আমরা সেটা নেবো। দেশের মানুষকে করোনা থেকে মুক্ত করার জন্য যা যা ব্যবস্থা নেয়ার দরকার তা নেয়া হয়েছে।’

করোনা মোকাবিলায় সবাইকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা যেন এই দুর্যোগের সময়টা পার করতে পারি। ইনশাহ আল্লাহ আমরা এটা পার করতে পারবো। তবে, ভ্যাকসিন যেটা আবিষ্কার হলো- আমরা আশাবাদী হয়েছিলাম অক্সফোর্ডেরটা নিয়ে কিন্তু তা পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখা গেল অসুস্থ হয়ে পড়লো। আমরা দুঃচিন্তাগ্রস্ত হয়ে গেছি। তারপরও আমাদের প্রচেষ্টা আছে। যেখানেই আবিষ্কার হোক আমাদের দেশের মানুষের জন্য তা সংগ্রহ করতে পারবো। এই বিষয়ে আমরা যথেষ্ট সচেতন।’

শেখ হাসিনা বলেন, করোনার কারণে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা কী হবে? কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেই বিষয়ে আমরা সজাগ ছিলাম। এজন্য আমরা শুরু থেকেই সিদ্ধান্ত নেই যথাযথ ব্যবস্থা নেই। দেশের মানুষ যাতে কষ্ট না পায় সেজন্য অনেক পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি।’

সমাপনী অধিবেশনে শেখ হাসিনা কথা বলেন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মসজিদে বিস্ফোরণের বিষয়টি নিয়েও। বায়তুস সালাত জামে মসজিদটি নির্মাণের কোনো অনুমতি ছিল না এমনটা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে ভবিষ্যতে দুর্ঘটনা এড়াতে নীতিমালা মেনে স্থাপনা নির্মাণের আহ্বান জানান।

বিস্ফোরণের ওই ঘটনায় নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় আমরা অনেক মুসল্লি হারিয়েছি। নামাজ পড়া অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। সবার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।’

শেখ হাসিনা বলেন, মসজিদ নির্মাণ হয়েছে এমন একটি জায়গায় যেখানে গ্যাসের লাইন ছিল। ওই গ্যাসের লাইনের ওপর মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। মসজিদ নির্মাণের কোনো অনুমোদন ছিল না। জায়গাটাও কমিটির ছিল না। এভাবে অনুমোদন না নিয়ে করার ফলে এই দুর্ঘটনাটা ঘটে গেল। কতগুলো জীবন ঝরে গেল। ভবিষ্যতে কেউ যদি কোনো স্থাপনা করেন, অন্তত নীতিমালা মেনে করবেন। যাতে এ ধরনের দুর্ঘটনায় আমাদের পড়তে না হয়

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.