চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রায় ৫০শতাংশ কাজ শেষ- দোভাষ

৩ সহস্রাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

0

নিজস্ব প্রতিনিধি, সিটি নিউজ : চট্টগ্রাম উন্নয়ন কতৃপক্ষ (সিডিএ)-এর চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ জানান,চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজ প্রায় ৫০ শতাংশ শেষ হয়েছে।জলবদ্ধতা নিরসনে স্লুইচ গেইটের কাজ পুরোদমে চলছে। তবে এগুলো শেষ হতে আরো সময় লাগবে। জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা সব সেবাদানকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কার্যক্রম পরিচালনা করতে একমত হয়েছি। এ সমন্বয় সভায় সিটি কর্পোরেশন,ওয়াসা, কর্ণফুলী গ্যাস,পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও সিএমপি প্রশাসন উপস্থিত ছিলেন।নাগরিক বিড়ম্বনা না হওয়ার জন্য এ সমন্বয় সভা করেছি।পুরো প্রকল্পর কাজ শেষ হলে চট্টগ্রাম নগরবাসির দীর্ঘদিনের দুঃখ জলাবদ্ধতা স্থায়ীভাবে অবসান হবে।

শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১ টায় সিডিএ মিলনায়তনে চট্টগ্রামে কর্মরত স্থানীয়,জাতীয়,অনলাইন নিউজপোর্টালের গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানান। এসময় তিনি সিডিএর গৃহিত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরেন।সাংবাদিকদের তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে অনুষ্ঠানে দৃষ্টি আকর্ষন করলে তিনি প্রধান প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করার জন্য বলেন।

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে সিডিএ চেয়ারম্যান বলেন, চট্টগ্রাম শহরের যানজট নিরসনে লালখান বাজার থেকে শাহআমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ের নির্মাণ কাজ প্রায় ৩৬ শতাংশ শেষ হয়েছে।নগরীর আউটার রিংরোড ৯২ শতাংশ কাজ শেষ হওয়ার পর যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। এক্সপ্রেসওয়ে নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কতৃপক্ষের আপত্তির কারণে এবং কভিড-১৯ এর কারণে কাজ বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর পুনরায় শুরু হয়েছে। একইভাবে চাক্তাই-কালুরঘাট রিংরোডের কাজ ৩৮ শতাংশ শেষ হয়েছে। বাকলিয়া এক্সেস রোডের কাজ ৭০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। বায়েজিদ ফৌজদারহাট লিংক রোডের কাজ ৯১ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। এই সড়ক দিয়ে অনানুষ্ঠানিক ভাবে যানবাহন চলাচল করলেও অনুষ্ঠানিক ভাকে এখনো খুলে দেওয়া হয়নি।

সিডিএর চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ জানান, চট্টগ্রামের নগরবাসীর চাহিদা এবং সিডিএ কর্তৃক আবাসন সমস্যা সমাধানে পাশাপাশি আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে নতুন করে আবাসন প্রকল্প গ্রহণ করতে যাচ্ছে। সিডিএ কর্তৃক ইতিপূর্বে করা অনন্যা আবাসিক প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্প গ্রহণ করতে যাচ্ছে। দীর্ঘ এক যুগ পর চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আবারো আবাসন প্রকল্পে হাত দিয়েছে।

সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে সিডিএর চেয়ারম্যানে জানান, চট্টগ্রামবাসির জলাবদ্ধতা জনিত দুর্ভোগ লাঘবে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অগ্রাধীকার ভিত্তিতে এই প্রকল্পটি গ্রহন করা হয়। তিনি জানান, ৫ হাজার ৬১৬ কোটি ৪৯ লাখ ৯০ হাজার টাকার এই প্রকল্পটি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) তত্ত্বাবধানে সেনাবাহিনী বাস্তবায়ন করছে।

জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পকাজে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের ডিজি কর্নেল সায়েম বলেন, এই প্রকল্পের কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন খাল ড্রেন দখল করে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা তিন হাজার ১৫৫টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এসব স্থাপনার মধ্যে বহুতল ভবন মার্কেট বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও রয়েছে।

মতবিনিময় অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামে কর্মরত স্থানীয়, জাতীয়,অনলাইন নিউজপোর্টালের গণমাধ্যম কর্মী ও সিডিএ র্বোড মেম্বার, প্রকল্প পরিচালকসহ সিডিএর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.