বিএসএফ ৩৩ জনকে হত্যা করলেও কোন প্রতিবাদ সরকার করেনিঃ রিজভী

0

সিটি নিউজ ডেস্কঃ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি এত করুণ, দেশের সার্বভৌমত্ব এত দুর্বল যে প্রায় দুইদিন-তিনদিন পর বর্ডারে মানুষকে মারছে, মানুষ হত্যা করছে, দেশের মানুষ রক্তাক্ত হচ্ছে। আজ পর্যন্ত ৩৩ জনকে হত্যা করেছে বিএসএফ। এত নতজানু সরকার যে একটা প্রতিবাদও করতে পারছেন না এটার জন্য।

আজ রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আজ লুটেরা লীগে পরিণত হয়েছে আওয়ামী লীগ। এটা বাস্তবতা। প্রতিদিন খবরের কাগজ খুললে তার প্রমাণ দেখবেন।

তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বর্ডারে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে, সুনামগঞ্জের বর্ডারে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে, লারমনিরহাটের বর্ডারে একজন গুলিবিদ্ধ হচ্ছে না হলে মেরে ফেলা হচ্ছে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আপনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক থাকলে সীমান্তে মানুষ মারা যায় কিনা? অর্থাৎ এই কথাটার মধ্যে আপনাদের যে আনুগত্য কত হেয় টাইপের এটা অত্যন্ত সুস্পষ্ট।

তিনি বলেন, বিএনপির নীতি হচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশ, দূরবর্তী দেশ সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। কিন্তু নিজের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করে নয়। শেখ হাসিনা নিজের ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য নিজের দেশের স্বার্থকেও বিসর্জন দিচ্ছেন। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক।

সরকারের কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, এই ক্যাসিনোকাণ্ড, এই সমস্ত ভয়ংকর যারা লুটপাট করেছে সরকারি টাকা, সেই সরকারি টাকা লুটপাটকারীদের আমরা দেখেছি। কিন্তু এদের কাছ থেকে বখরা পেয়েছে সেই সমস্ত নেতা, সেই সমস্ত গডফাদারকে তো স্পর্শও করতে পারেনি দুদক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

তিনি বলেন, এই যে জি কে শামীমের কথা বলা হয়- ছয় হাজার কোটি টাকার সে কাজ নিয়েছে। পিডব্লিউডির ঠিকাদারিতে সে কাউকে কাজ নিতে দিত না। সেই জি কে শামীমের জামিন হয়ে যায় গোপনে। কী ভয়ংকর অবস্থা চিন্তা করে দেখুন। যে ব্যক্তিটি রূপপুর প্রকল্পে সাত হাজার টাকা দিয়ে বালিশ কিনেছে এবং সাড়ে ৩৭ আখ টাকা দিয়ে পর্দা কিনেছে। সেই প্রকল্পের আবাসিক ভবনগুলো অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জার জন্য ১৬৯ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। তার যে ঠিকাদার শাহাদাত সে কিন্তু জামিন পেয়ে গেছে। তাহলে বলুন আমরা কোন শাসনের অধীনে আছি।

সাবেক এ ছাত্র নেতা বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের একদিকে জামিন বাতিল করে কারাগারে নিচ্ছে। অন্যদিকে দুর্নীতিবাজ ক্ষমতাসীন দলের লোকজন জামিন পাচ্ছে। এক দেশে আইনের দুই রকম প্রয়োগ হচ্ছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয়কে যখন এক মামলায় জজ সাহেব খালাস করে দিলেন সেই বিচারককে পালিয়ে যেতে হয়েছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.