হাটহাজারী মাদ্রাসা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

0

সিটি নিউজ ডেস্ক : হাটহাজারী আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা (বড় মাদ্রাসা) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ হতে একটি আদেশ জারি করা হয়। করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য এবং আরোপিত শর্ত যথাযথভাবে পালন না করায় এ মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণার কথা আদেশে বলা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, কওমী মাদ্রাসা সমূহের দাবির প্রেক্ষিতে গত ২৪ আগস্ট কতিপয় শর্তসাপেক্ষে (স্বাস্থ্যবিধি মানা সংক্রান্ত) কওমি মাদ্রাসা সমূহের কিতাব বিভাগের কার্যক্রম শুরু ও পরীক্ষা গ্রহণের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। প্রতিষ্ঠানটি আরোপিত শর্ত ভঙ্গ করায় কারিগরি মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ মাদ্রাসাটি বন্ধ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।

এদিকে এ মাদ্রাসায় আন্দোলনকারী ছাত্ররা গতকালও বিক্ষোভ করেছেন। মাদ্রাসার ভিতরে বিভিন্ন কক্ষ ভাংচুরের কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লেও পরবর্তীতে মাদ্রাসার ভিতর থেকে মাইকে তা অস্বীকার করা হয়েছে। আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী মাদ্রাসা ফটকে অবস্থান নেয়।

হাটহাজারীর বড় মাদ্রাসা খ্যাত আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসায় পাঁচ দফা দাবিতে মাদ্রাসার কয়েক হাজার ছাত্র আন্দোলন শুরু করেন গত বুধবার। ছাত্রদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ওইদিন রাতে শূরা কমিটির বৈঠকে পাঁচ দফা দাবির দুই দাবি মেনে নেয়া হয়। উক্ত বৈঠকে ৫ দফার দাবির দুইটি দাবি যথাক্রমে মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আনাস মাদানীকে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার ও শিক্ষার্থীদের কোনো ধরণের হয়রানির শিকার করা হবে না মর্মে সিদ্ধান্ত প্রদান করেন বৈঠকে উপস্থিত শূরা সদস্যরা।

শনিবার শূরা কমিটি পুনরায় বৈঠকে মিলিত হয়ে অন্যান্য দাবিগুলো নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহন করবেন মর্মে আশ্বস্ত করলে বিক্ষোভকারীরা সে রাতে আন্দোলন বন্ধ করার ঘোষনা দেন।

কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে মাদ্রাসা বন্ধের ঘোষনা দেয়া হলে বিক্ষোভকারীরা পুনরায় জড়ো হন এবং মাদ্রাসার প্রধান ফটক বন্ধ করে দিয়ে আন্দোলন শুরু করেন।

এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা মাদ্রাসার কিছু গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর ভাংচুর করেন বলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা মসজিদের মাইকে মাদ্রাসার ভেতরে ভাংচুরের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে প্রচার করেন এবং বাইরে অপেক্ষমান উৎসূক জনতাকে শান্ত থাকার আহবান জানান।

বিক্ষোভকারীদের দাবির প্রেক্ষিতে গতরাত ৮টায় শূরা কমিটি জরুরি বৈঠকে মিলিত হয়। বৈঠকে ‘মুহতামিম’ পদ থেকে আল্লামা শাহ আহমদ শফী অব্যাহতি নেন। পরে ছাত্রদের দাবি মেনে নেওয়ায় তারা মাইকে আন্দোলন সমাপ্তির ঘোষণা দেয়।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.